বৃক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ায়,
  নদীর মতো সন্ধ্যার সমান্তরালে হারায়;
দুর্গম গুহার দ্বারে,
       চর্মহীন শরীর ক্ষীণকায়
                ধূলিসিক্ত আলোয়ান জড়ায়।
দাঁড়িয়ে থাকে যেন কঙ্কালসার
             সন্ধ্যা-গোধূলির মিলন মেলায়।
রক্তসিক্ত অন্তিমক্ষণে,
    নীরবে কেঁদেছি সমস্ত ঘৃণার অন্তরালে।
নিভৃত রোদন শঙ্কায়
             ডুবে থাকে একাকী।
      ঘোলাটে দৃষ্টির নির্মীলিত মহাদিগন্তে,
বিস্ফোরিত বুনো চিৎকার,
        ধূলোর ধরণীতে পাওয়ার হাহাকার!
পৃথিবীর প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রে
             পাহাড় চূড়ার নিবিড় অন্ধকারে।
নির্জনতার নির্বিচ্ছন্ন দীর্ঘশ্বাসে
   প্রতিশ্রুতির শেষ বাক্যটুকু আকড়ে ধরে!
নিভে যায় ঝাপসা আঁধারে।
                 বন্ধুবেষ্টিত প্রিয় ভূবন থেকে
হলুদ খামের নীল বেদনায়
       বহুদিন ধরে বিচ্ছিন্ন তবু ছবি আঁকে।
একাকী বৃষ্টিমুখর অন্ধকার,
                তবু ক্রোধ আর ঘূর্ণির উত্থান
স্পন্দিত অন্য সব শূন্য আকাশে
      স্বর্ণবিন্দুতে আবক্ষ অবয়ব  অবগাহন,
ক্ষত-বিক্ষত জামিনে নির্লিপ্ত বলে উঠে
        আশ্চর্য! ভাগ্যরেখার স্মৃতিময় পটে।
বর্ণালীর গভীর রংতুলিতে
              বৃক্ষের সম্মুখে নীরব রজনীতে
দূর নীলিমায় বন্ধন ছিড়ে শঙ্কিত
                       তবু দ্বিধায় উন্মোচিত!
রক্তসিক্ত আবেগ মোহনার মেলায়
ডুবে থাকি একাকী মহাদিগন্তে অবেলায়!