চৈত্রের ভ্যাপসা গরমে ধরণীর রহস্যময়ী আকাশে,
নিত্যদিনের মতো কৃষক তাকায় ভোরের বাতাসে।
চারিদিকে ঘুমহীন জনপদ ,তীব্র যে গরম;
চেয়ে থাকে ময়ূর কখন মেলবে সে পেখম।


মাঠ ঘাট ধুঁধু করে , মরীচিকা ছোটে শুধু;
চৈত্রের খরতাপে রূপ হারায় বাংলার বধু।
তাপদাহে মরে লতা-গুল্ম, পাতা ঝরে বেদনায়;
নিত্যদিনের মতো কৃষক তাকায় বৃষ্টির আশায়।


মেঘে মেঘে আকাশ ভরে যায় ভোরে,
এলো বুঝি বৃষ্টি, কিন্তু মেঘ যে যায় দূরে সরে।
এমনি করে চলে যায় দিন চৈত্রের তাপে,
আলো আঁধারের মাঝে কৃষকের দিল কাঁপে।


ঘুমহীন প্রতিরাত কাটে কৃষকের বৃষ্টির ভাবনায়,
চেয়ে থাকে আকাশে মেঘ-বৃষ্টির আশায়।
এ রহস্যময়ী মেঘের ছুঁটে চলা পথে ঘাটে,
ঘুমহীন ক্লান্তির ছাপ নিয়ে যায় মাঠে।


চৈত্রের মেঘ-বৃষ্টি শূন্য আকাশে বাতাসে,
কৃষকের শান্তি, স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় অবশেষে।
আবার গভীর রাতে হঠাৎ বাইরে এসে দাঁড়িয়ে,
তারা ভরা আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখে।


বৃষ্টি দাও প্রভু। চৈত্রের এ ধূসর ধরার বুকে,
প্রার্থনা করে দু’হাত তুলে বৃষ্টির গন্ধ শুকে।
(১০ এপ্রিল ২০১০)