রক্তলাশ
                       -এম. মাহবুব মুকুল


বিভোৎস গুমোট, দূর্গন্ধ পঁচা অন্ধকার গ্লানি,
চারদিকে ত্রাসে কাঁপে। ভয়ঙ্কর গর্জন ঝাঁকুনি।
চিৎকার আর্তনাদ  হাহাকার মৃত্যুর ইঙ্গিত !
লাশের স্তুপ, ফাঁকা গুলি, বাঁচাও বাঁচাও রণসঙ্গীত।
রক্তের বন্যা; রক্ত গঙ্গায় ধুয়ে দিবে সব অপবাদ গ্লানি।
ওরা কারা ! গুলি ছোঁড়ে ? শূন্য করে মায়ের বুকখানি।
রক্তলাশের গলিত স্রোত যেন ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ।
পরীক্ষায় ব্যাস্ত কঙ্কালাদি নিয়ে ! প্রত্ননতাত্নিক উৎসুক ।
ভাবতে বিস্ময় লাগে ! কে দিবে ধিক্কার ? কে যোগাবে সাহস ?
সমস্যাগুলো দেখো সংকটে ঘনীভূত, দূর্ভাগ্য বরং  প্রবল।
রক্তচোষা জন্তুগুলো চারিদিকে পেতেছে  ঐ ওৎ !
বিষক্ত সাপের সর্পিল জিহবা।  ও কিসের আলামত !
রক্তলাশের গলিত স্তুপ, দূরে রাখ ! বিজ্ঞের অভিমত।
জ্ঞান থাকতেই ছিল না কদর, এখন তো গলিত লাশ !
চেনা যায় না , চিনতে পারে না , কঙ্কাল কার ?
তদন্তের স্বার্থে প্রশ্ন ওঠে ডি এন এ পরীক্ষার।
প্রত্নতাত্নিকেরা দিনে-রাতে পরীক্ষা করে আর নমুনা সংগ্রহ,
রক্তলাশের গলিত স্রোত, সাধারণ মানুষ কবর দিতে আগ্রহ।
বেঁচে আছে যারা গোঙ্গানি আর আর্তনাদ, জনগণ শোকাবিভূত।
সান্তনারবাণী ভুরি ভুরি ।  পরদিন প্রভাতে নিত্যকর্মে রত।
শুধু প্রত্নতাত্নিকেরা রক্তলাশ আর কঙ্কাল নিয়ে উৎসুক,
তদন্ত প্রতিবেদন দায় সারা ভাব, প্রতিপক্ষকে বাঁচাতে উন্মুখ।