আমাদের দেশে, আমাদের সমাজে, আজকে দেখ রক্ষকই ভক্ষক;
দেশদরদী,সমাজসেবী সেজে তারা ভাবে তারাই দেশের রক্ষক।
রাজনীতিবিদ, প্রশাসন,আইনজীবি, বুদ্ধিজীবি সবাই দেশের স্বার্থে,
দুর্নীতি, উপরিআয়, ঘুষ মিথ্যার মারপ্যাচে সবই করে দু’হাতে।


নেত-নেত্রীর চাঁদাবাজি, আমলাদের লালফিতার সীমাহীন নানা অজুহাত;
উন্নয়ন স্থবির, জনমনে চাপা ক্ষোভ, আমাদের সম্মুখে কুয়াশাছন্ন প্রভাত।
যাকে বিশ্বাস করবে তুমি। সেই ঠকাবে, সমাজে আজ রক্ষকই ভক্ষক,
বক্তৃতা-বিবৃতি-টকশোতে সাধু সাজে, যেন তারা দেশপ্রেমি সাধক।


আমাদের প্রশাসনের দুর্নীতি আর ঘুষের লেনদেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়! প্রশাসনে এমন কোথাও তুমি খুঁজে পাবে না!
আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারির চরিত্রটা কেমন দেখুন না!
সরকার গাড়ি-বাড়ি সবই দেয়। নানা অজুহাতে কাজ না করার বাহেনা।


দেখুন কাজটা হলো। ক’টা টাকা দিবেন!  এতে ঘুষ বলেন কেন ভাই?
ঠিকাদারি কাজে আবার শতকরা হিসাবে তার টুকু কেটে নেয়।
আমাদের সমাজের সবাই জানে,ঘুষ-দুর্নীতির এসব সত্য ঘটনা,
কেমন হবে বলো? পুলিশের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করানো!


যে যা পায়, তাই খায়, দুর্নীতিই যেন আমাদের কর্মের সুনীতি,
টাকা দিলে মিথ্যা হয় সত্য,সব কিছু যায় উল্টে। এ কেমন নীতি!
আমাদের সমাজে যারা যত বেশী সাধু তারা তত বেশী ধড়িবাজ,
লাখ লাখ টাকা দিয়ে চাকরিতে ঢুকে , সে কি চিন্তা করবে আজ?