দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সন্দেহ-ভয়, সব যাক আজ চুকে;
ভালো কিছু নিয়ে, শান্তি আসুক ধরার বুকে।
সন্দেহ ভয় যা কিছু আছে, করে দাও বিদায়।
আঁখিজলে, হাত পা গুটিয়ে করো না হায় হায়!
ধীরে ধীরে চলো, কাজ দিয়ে করো সবার মনজয়,
তবেই চলার পথে মানব সংসারে থাকবে না ভয়।
চুপি চুপি চুম্বন দেয় নক্ষত্র তারা আঁধার ভরা রাতে,
না পাওয়ার বেদনায় বৃথাশোক করো না প্রভাতে।
মিছামিছি কেউ কাউরক দিবে কুসুম গুচ্ছ উপহার,
শাস্তি আসুক, তবু সবার সাথে করো উত্তম ব্যবহার।
বিপদে দুঃসময়ে দুঃখে সান্ত্বনা দিতে হবে নিজেকে,
বুকভরা আশা, অনন্ত ভালোবাসা আসুক এ বুকে।
দু’দিনের সংসারে জীর্ণ কুঠিরে সবার আনাগোনা,
বেচাকেনার এ সংসারে, তুমি আমি অচেনা।
ভয়কে জয় করো,পাছে লোকের কথা যাও ভুলে,
অপরাধ বোধে, আঁখিজলে যেন হৃদয় ওঠে দুলে।
শত সহস্র আঘাতে যতই হৃদয় চূর্ণ বিদীর্ণ হোক,
অহংকার আর আবেগ ছুড়ে ফেলে জাগ্রত করো বিবেক।
নিরবে আঁখি মুছে কর্মের মাঝে চলো দুঃখী নিকেতনে,
কাকে দিব উপহার, সবই গেছে, ক্ষনিকের মোহ এ ভূবনে।
যতই লেপিছ কালি! জ্যোতির্ময় মুখ দেখি নতুন রূপে,
বিবেকের দংশনে, লোক লজ্জার ভয়ে তবু চলি চুপে চুপে।
ঘৃণা সেতো বিশ্বজগৎ সংসারের প্রতি নিরব প্রতিবাদ,
কর্মের ভীড়ে কেউ যেন না পায় দুঃখ, না দেয় অপবাদ।
                                                          


  (২১জুলাই২০০৯)