আমি লিখি তাদের কথা যারা, এক পেশে কথা বলে,
সামনে দ্যাখে না দু’চোখে। চলে সবকিছু দলে।
     কাজ ফাঁকি দিয়ে স্বজনপ্রীতিতে ব্যস্ত
   নীতি বিসর্জন দিতে ওরা অভ্যস্ত।
     স্বীয় স্বার্থ হাসিলে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে,
কথার মারপ্যাচে প্রতিপক্ষকে রাখে সর্বদা দাবিয়ে।
দেশ জাতির জন্য ক্ষতিকর, এরা বড় ভয়ঙ্কর!
বিচিত্র এদের রূপ, এরা সমাজের কীট।
      আমি লিখি, বারবার লিখি
সমাজের সেই সব প্রতিহিংসাপরায়ণ কীটের কথা!
কি বলব তাদের চরিত্রের কথা! অন্তরে লাগে ব্যথা।
সংসারের পিছুটানে বলতে পারি না, মুখ যে বাঁধা।
আজকে আমি হয়েছি জ্ঞান বিবেক বুদ্ধিহীন গাধা।
সমাজে ওরা বড় ভয়ঙ্কর! মানব নামের কলঙ্ক,
     ওরা বাহাবা পায় উপরি মহলের,
                   ভয়ে ভীতে কর্মে জাগে আতঙ্ক।
এরা এতটাই ভয়ঙ্কর যে,
স্বীয় স্বার্থে দ্বিধা করে না সত্যকে মিথ্যা বলে চালাতে।
            বললে বলবে, কখনো বলিনি।
            নামটা জানতে চাই ?  আর তখনই হবে অগ্নিমূর্তি।
এরা শেয়ালের মতো ধূর্ত্য
আর সিংহের মতো চালাক।
নিজে কাজ করে না এরা কোন সময়,
অন্যের কাজে সর্বদা ভাগ বসায়।
যুগে যুগে ছিল , এখনো আছে সংসার কর্মক্ষেত্রে।
   সুক্ষ্ণচিন্তায় বিচক্ষণ এরা।
         পারতপক্ষে এদের উপেক্ষা করো সর্বক্ষেত্রে।
এরা নিঃশ্বেস হবার নয়
সৎ মানুষের বড় ভয়।
এরা একজনের কথা সত্য-মিথ্যার রঙ মিশিয়ে
দেয় অন্যের কানে, আবার বলে জনে জনে।
স্বীয় স্বার্থ হাসিলে আশ্রয় নেয় ছলে-বলে-কৌশল
              এরা সমাজের কীট। এদের চিনে পথ চলো
                   তবেই মান সম্মান থাকবে বহল।
                                                                  
(১৪ নভেম্বর ২০০৯)