শ্রাবণ পূর্ণিমা

সেদিন ছিল ভরাপূর্ণিমা
জ্যোৎস্নার বদলে অঝোর ধারায় বৃষ্টি;
শ্রাবণ আকাশে মেঘ, ঘন কালো মেঘ
দমকা হাওয়ার দাপাদাপি
আমি আর ও চেয়েছিলাম কদম কাননে,
দমকা হাওয়ার মাঝে কখনো!
জ্যোৎস্নার বদেল আকাশ ঝলকানো বিদ্যুৎ
নিস্তব্ধ আকাশ। হঠাৎ মেঘের গর্জন
কম্পিত হৃদয়ে; বিস্ফোরিত অপলক দৃষ্টিতে
চেয়ে থাকি দূর্বল চিত্তে।
জ্যোৎস্নার আলো এ শ্রাবণ পূর্ণিমায়।
আবার মেঘে ঢাকা শ্রাবণ মেঘে;
জ্যোৎস্নার বদলে ঝরে অবিরাম বৃষ্টি
সেদিনের ভরা পূর্ণিমায় ভরে ওঠে
খাল-বিল-নদী ভরা যৌবনে।
দূর্বার গতিতে চলে সম্মুখে;
শ্রাবণ পূর্ণিমায়।

××××     ××××       ××××

শ্রাবণ শেষে

চাঁদ ওঠে নীলাকাশে শ্রাবণ শেষে,
সাদা মেঘ যায় ভেসে ভেসে
শরতের পূর্ণ আবেশে।
পূর্ণিমার চাঁদ চৌদিকে আলোকিত করে,
এ মন রাখা যায় না ঘরে;
উড়ে চলে সাদা মেঘের দলে
নৃত্যের তালে তালে।
প্রেয়সীর খোঁজে,
নীলাকাশে এই শ্রাবণ শেষে।
ঐ যে ! দেখ উঠেছে রব,
মহুয়ার বন জেগেছে সব।
ফুঁটেছে ফুল নবীন ডালে,
সাদা মেঘ ওড়ে দলে দলে;
চাঁদ উঠেছে নীলাকাশে
জ্যোৎস্নায় ঘুরে বেড়ায় নৃত্যের আবেশে
চাঁদ উঠেছে নীলাকাশে শ্রাবণ শেষে।