শ্রাবণ সন্ধ্যায় এসেছে বিরহিনীর মেঘদূত;
নীলগিরি পর্বতশিখর পেরিয়ে ডমরু বাজিয়ে,
হৃদয়ের কপট খুলে কদম কেয়া সাজিয়ে,
প্রেয়সীর খোঁজে উদাসী চোখে বন্যা ভাসিয়ে।
শ্রাবণের নীল নব ঘনে পর্দার আচ্ছাদনে,
মলিন মুখে শঙ্কিত হৃদয়ে প্রহর গুনে বর্ষণে।
জলাশয়ে মেতে ওঠে ভেক নতুন উৎসবে,
শ্রাবণের ঘন বর্ষায় জানালায় একাকী নিরবে।
এসো প্রেয়সী ! এসো এই শ্রাবণ বর্ষণে,
জলাশয়ে ভাসে, মেতে ওঠে, বৃষ্টির চুম্বনে।
সন্ধ্যার বাতাসে বৃষ্টির কাঁন্না গভীর বিষণ্নতা,
বৃষ্টি যেন হৃদয়ের কাঁন্না! বিরহ বৃষ্টির আচ্ছন্নতা।
দৃষ্টি ভেজা নিশ্চল দাঁড়িযে শ্রবণ সন্ধ্যা ঘরে,
আলুথালু এলো কেশে প্রতীক্ষায়, এই বুঝি এলো ঘরে।
রাতের আকাশ প্রকৃতি গুমোট আঁধারে ছায়াছন্ন,
বৃষ্টির একটানা শব্দে প্রেমিক মন বিষণ্ন
প্রেয়সী আসে না কেন? এ শ্রাবণ সন্ধ্যা ঘরে,
ডানা মেলে উড়ে যায় উত্তরি মেঘ দূরে দূরে।
শ্রাবণ সন্ধ্যায় বিরহ বিলাস, থেমেছে সন্ধ্যা গীত,
ভরে না মন ! যায় না বাঁধা, এ য়ে বিরহীর মেঘদূত।