আঁচল টেনে মুখ ঢাকল পূর্ণ সে অতি,
কলঙ্ক তাঁকে ছোঁয় নাই পবিত্র নির্মল সতি।
                       আঁখি নত করে চায়
               দুর্নাম কারো নাহি গায়,
সে যে কাছে থাকে তবু দূর
অপরূপ সাজে অপূর্ব মধুর।
তীক্ষ্ন দীপ্ত আঁখি ছুড়ে দেয় মর্মমূলে
আলোহীন দেহ আচমকা উঠে দুলে।
প্রলয় আসে হ্নদয় যৌবন ছাপিয়া,
পূর্ণ জ্যোতির মমতায় দেয় কাঁপিয়া।
বিমল আঁধারে প্রতিমা সম,
প্রকতির রূপে যেন হলুদের আভা সম;
মধ্যনিশিতে বাতায়নে আসে
বসন্তফুলে ভূবনমোহিনী সুবাসে ।
যৌবন ভরা যুবতির ছায়া
কুসুম কাননে সর্বশরীরে মায়া,
নিবিড় তিমিরে ধীরে ধীরে ফোঁটে ফুল,
মুখোমুখি বসি ভেঙে যায় সব ভুল।
পূঁজিবে সে আঁধার বুকে আঁচল টেনে টেনে,
ভালোবাসা তার হৃদয়তলে নয়নে নয়নে।
ব্যাকুল হয়ে উঠে আজ সুপ্তপ্রেমে,
থরথর কাঁপে ভালোবাসি বলতে শরমে।
পূঁজা করে গোপন প্রেমে, অন্তরে;
চোখে চোখ পড়তেই লুকাত ঘুরে।
সখিদের সাথে চলত
আর আড়চোখে চাইত।
তুলত পূঁজার ফুল সন্ধ্যা ছায়ায়,
বসন্ত বাতাসে উঠত দুলে সুপ্ত মায়ায়।
শিউলি- বকুলের মালা গাঁথে নিরবে;
আঁধারে দীপ জ্বালে কখন সে আসবে।
দক্ষিণা বায়ুর উত্তরি মেঘ করত ব্যাকুল,
আঁখির প্রেমে আঁখি থাকত, বলত এ যে ভুল!
অবুঝমন কোমল নারির হৃদয়,
নরম কাদা দিয়ে গড়া ! তাই এতো ভয়।
যতই চাইত ততই নয়ন করত নত;
”নড়বড়ে তোর প্রেমের ভীত”! সখিরা বলত।
গোপন সে বাসনা আঁখিতে আঁকত,
শরমে দুই হাত দিয়া মুখ ঢাকত।
                           পূর্ণ সে সতি
               পবিত্র-নির্মল অতি।
                       ( ২৫ মে ২০০৯)