ধুলিমাখা পদযুগলে নূপুরের মধুর ধ্বনি,
চোখেতে তার অপরূপ চাহনি।
ঐ দূর গহিন বনে আপন মনে,
গোধুলি বেলায় ক্লান্ত পথিকের সনে
নাচিতে নাচিতে - পুলকিত হাসিতে মন মন্দিরে,
।চেনা পথের বাকে, বারেক ফিরে ধীরে ধীরে।
মনোব্যাধি জ্বরে পুড়ে ভাসায় নিরবে ভেলা,
ধোয়া ধূসর স্মৃতিকথার ইতিবৃত্তের খেলা।
পাপড়ির তলে পাতাঝরা বনে নিরব হাহাকার,
বিদীর্ণ মহাকালের মধ্যবর্তী চূর্ণ সে অহংকার।
সন্ধ্যার আলোয় ঘ্রাণ ছড়ায় অনাবিল দ্যুতিময় ফুল,
পাখির পালকে অপূর্ব দৃশ্য সহসা জাগে ভুল।
নীল সুপারি বনে দেখেছে সন্ধ্যার উজ্জ্বল মুখ,
তারে চায় কেমনে পায়, বলতে বলতে বাড়ায় দুখ।
তবু সুরভি প্রেম গড়ে অহিংসার শহরের বাকে,
লোভ ঘণা ভুলে রূপরে নহরে তার ছবি আঁকে।
পারিজাত আঁখি স্বপ্ন খোঁজে কষ্ট পুড়িয়ে,
পথের বাকের অদৃশ্য চাহনি ভালোবাসা দেয় জুড়িয়ে।
(১৬ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০)