মুরব্বিদের সামনে অহংকারে,
ছাড়ত সিগারেটের ধোয়া,
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আজ সে
সবার কাছে চাচ্ছে দোয়া।
কাঠফাঁটা রোদে দুই-আড়াই ঘণ্টা
দাঁড়িয়ে নিয়েছিল মোটা চাল,
নিদারুণ কষ্টে সংসার চালিয়ে
ধরেছিল পরিবারের হাল।
কঠোর শ্রম চেষ্টায়, স্বীয় সাধনায়
আজ সে সফল এ ধরায়,
তার বাড়ির সামনে লোকজনের ভীড়।
পেটভরে খাবার আশায়।
বাড়িভাড়া বাকি থাকায়, বাড়ি ছাড়ার
হুমকি দিয়ে ছিল যে জন;
ব্যাংকের কাছে নিলাম হয়ে,
ভাড়া বাড়িতে উঠেছে আজ সেজন।
ধনি ধনি করো! মহাজন,
মহাপ্রতাপশালী, বিত্ত-বৈভব;
মানুষের সেবা করো, অসহায়ের পাশে দাঁড়াও,
পাল্টাও স্বভাব।
ক্লাসের অপছন্দ যে ছেলেটাকে গাধা,
অমানুষ বলত প্রতিদিন;
অপমান সহ্য করে, মানুষ হয়ে,
আজ ঐ শিক্ষক তার অধীন।
এক সময়ের নামকরা কসকো বিউটি সোপ,
ছিল রূপের ঢেউ;
আজ দেখো টয়লেটে ব্যবহার করে,
গায়ে মাখে কি কেউ!
আপনার বাড়িতে কাজ করে
ক্ষুধা মেটাত, অপমান গ্লানি সয়ে;
আজ দেখো বংশ গৌরব তুচ্ছ করে,
সে এসেছে সচিব, মন্ত্রী হয়ে।
তুমি যাকে ব্যক্তি আক্রশে করেছিলে
ভিটেমাটি এলাকা ছাড়া,
আইনি লড়াইয়ে তার বংশধরকেই
আবার করছ আইনজীবি ভাড়া।
কি আজব জগত! বহুরূপী রূপ!
কি বিচিত্র বিধাতার নিয়ম।
সামান্য অর্থ-বিত্ত, ধন-দৌলত হলেই
দেখাও টাকার গরম।
সময় বড় নির্মম! মানবিক অমানবিক
ধার ধারে না, বড়ই রোমাণ্টিক;
সময়ের যোগ্য ব্যবহারে, কঠোর সাধনা-শ্রমে
পাল্টে দেয় জীবনের দিক।
সময় স্থির থাকে না, পক্ষ-বিপক্ষ মানে না,
সময় প্রতিশোধ পরায়ণ;
সময়ের কাজ সময়ে করো, নতুবা
ঠেকাতে পারবে না অধঃপতন।
(২৩ মে ২০২০)