হৃদস্পন্দনে আলোর উৎসবে দাঁড়ায় তটিনী,
মিলনান্ত নীলগিরি খাদের কালচিহ্নে;
দীপ্ত স্পর্শে সঙ্গোপনে অপরূপ ভোরে
কিংবা দীর্ঘশ্বাসে ভরা নির্জন রাত্রির বন্ধনে।
তটিনী সঙ্গোপনে নির্জন মুহুর্তে ছুঁয়ে যায়,
               নবীন যৌবনের আবহাওয়ায়।
মিলনান্ত নীলের অন্তহীন মাটির শরীরে সেথায়,
হৃদস্পন্দনের ঝংকার জীবন জাগায় রূপের জ্যোৎস্নায়।
তটিনী আমার দু’চোখের মণি চুষে নেয়,
শত প্রেমিক কবিদের কাব্যিক উপমায়।
এ অবেলায়, বসন্ত মেলায় ক্ষণিক গুপ্তচর
প্রেমহীন নিঃসঙ্গতা ভাবায় এ ধরণী যে পর।
অতীত স্বপ্ন বদল তবু আলোর উৎসবে স্বরূপা অপ্সরী,
রূপান্তরের জগতে অসম্ভব তাণ্ডব সে যে দূরাচারি।
তটিনী রূপ মাধুরীর ঘোরে অনুভবে আপন ভূবনে,
সভ্যতার বর্বর যুগে জেগে ওঠে মমতার আকর্ষণে।
ভেজা চুলের লুকানো ছায়ামুর্তির নিসঙ্গতায়,
মায়ার কাননে প্রেমহীন রাত্রির চুম্বন সেথায়।
তটিনীর দু’চোখে অশ্রু এখন যে বিদায়
এসো বসি অপার্থিব ফুলের সুবর্ণরেখায়।
            (০৮ মে ২০১৮)