অসময়ে অবসর! আমার চেয়ে
আমার পরিবারই বেশি চিন্তিত ছিল ভাবনায়।
  তাদের কথা, এতো অল্প বয়সে অবসর!
কোথায় অল্প বয়স? অনেকদিন তো করলাম!
  তাছাড়া তৃতীয় শ্রেণির চাকরি
                 তাও আবার সৈনিক পদবির।
প্রায় সারাটা সময় ন্যায় এর চেয়ে
          অন্যায় আর নীতি বিরোধী
         আদেশ পালন করা।
  সর্বদাই স্যার, স্যার আর ইয়েস স্যার;
   কাজের চেয়ে স্যারের তোষামোদই বেশি।
স্যার যেটা বলবে সেটাই রাইট, স্যার।
                    তাই অল্প বয়সে অবসর!
ক’জনে জানে সৈনিকে নাম লেখালে
      জীবনে বড় কিছু হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ।
যত শিক্ষিত হোক আর যত ডিগ্রীই থাকুক
                প্রথমেই বাদ,
তুমি তৃতীয় শ্রেণির, তুমি সৈনিক চুপ থাকো।
     বিমান সেনা হয়ে মহা অপরাধ করেছে।
  যদি কোন অর্ডার আসে,
                 আর সেটা পালন না করলে
বলবে, ডিফেন্স আইন ভায়োলেট।
               শাস্তি হয় তার কোর্ট মার্শালে।
আবার যদি আদেশ পালন করা হয়
          তবে বলবে, জ্ঞান-বোধ কিছু নাই
ও ফায়ার করতে বলল আর অমনি ---
                        একটু ভাবলেন না।
তাহলে বলেন সৈনিক কোথায় যাবে!
        প্রতিদিন দু’বেলা আছে নীতিকথা।
আইনে না থাকলেও যা বলবে তাই করতে হবে।
    তাই অনিয়ম সহ্য হয়নি,
            অনেকদিন চোখ কান বন্ধ করে
অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে
                      অবসরে চলে এসেছি।
এই এতো অল্প বয়সে।
     যারা বিবেকহীন নীতিহীন তোষামোদী
                                 তারা পারে।
প্রথম দিকে মেধার কিছুটা মূল্যায়ন হয়,
শেষের দিকে কাজের চেয়ে তোসামোদিই
                        বেশি প্রধান্য পায়।
তাই অবসরে চলে আসা, মুক্তজীবনে।
  বেসামরিক জীবনে চলে আসা।
              মুক্তবিহঙ্গের মতো পথ চলা।
জীবনকে নতুন করে চেনা।
     গাড়ি-বাড়ি নাই, দিন আনি দিন খাই
     কোন মানসিক টেনশন নাই।
           (১৭ এপ্রিল ২০১২)