জীব সৃষ্টির আদিযুগ থেকে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা,
ধবংসের বুকে সৃষ্টি। অন্ধকার পেরিয়ে ওঠে বেলা।
খেলা খেলা, ধবংসের খেলা। খেলিছে কেবা!
শান্তির মাঝে কৃত্রিম দেয়াল গড়ায় যেবা।
মানব ইতিহাসের সময় কতো দ্রুত পাল্টায়,
প্রকৃতি দেখো টাইফুন সাইমুম ঝড়ে উল্টায়।
তীব্র ক্ষোভ! ভয়ঙ্কর ক্রোধ!! বিক্ষুব্ধ মানুষ!!!
ইট লোহা কংক্রিটে শক্ত প্রাচীর গড়ে ফানুস।
সেই কবে থেকে এ ইতিহাস জানি তুমি আমি,
হারিয়ে গিয়েছে বিশ্ব থেকে কতো মহারথি ভূস্বামী।
সেন-গুপ্ত-মৌর্য-পাঠান-বর্গী-মারাঠা-মোগল
উত্থান পতনের মাঝে শেষ, তাদের দখল।
চাপা উত্তেজনার বুকে, দুঃখ হতাশার সুর
দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরে শুরু হয় শান্তি চুক্তি সাক্ষর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গড়ে ওঠে বার্লিন প্রাচীর,
১৯৯০ সারে ভাঙ্গল জার্মানীর ঐ শক্ত প্রাচীর।
বিশ্বে আজ কোথাও হয় মিলন। একত্রীকরণ,
আবার কোথাও দেখো ধবংসকে করে বরণ।
ঐ নব্বই সালে একদিকে জার্মানী একত্রী করণ,
পরমুহূর্তে বিলীন হলো সোভিযেত ইউনিয়ন।
স্বপ্ন আর বাস্তব দু’য়ের মধ্যে প্রভেদ বিস্তর,
বাস্তবের কঠিন মিলন, আবেগ স্বপ্ন কল্পনার।
মানুষের স্বপ্ন বেশী দিন স্থায়ী হয় না, বোধ হয়,
কোথাও ঘটে পূর্ণ আবার কোথাও শূন্য করে দেয়।
সময় বড় নির্মম! সময় অসময় মানে না,
হাসি কাঁন্নার কোন কিছুই সে ধার ধারে না।
বার্লিন, মস্কো, প্রাগ, বেলগ্রেড এসব শহর,
ওলোট-পালোট করা, ভাঙ্গা-গড়ার অন্তহীন বন্দর।
উত্থান-পতন অভ্যুদয় ধবংস-সৃষ্টির অনিশেষ নাটক,
বিশ্বের কিছু ধনিদেশ আজ সেজেছে ঘটক।