পলাশী থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দীর্ঘ মুক্তির সংগ্রাম,
পদে পদে বিপন্ন মানবতা। জেগে ওঠে বাংলার বীর সেনানী।
বারবার বাংলার আকাশে শকুনের থাবা; কালবৈশাখী ঝড়,
নতুন শঙ্কা ’৫২ তে ভাষায় আঘাত! বিপন্ন বাংলা ভাষা।
দুঃস্বপ্নকে তাড়িয়ে, দুঃসাহসী লড়াইয়ে গায় ভাষার গান,
মুক্তির গান, জয় বাংলার গান, বাঙালির হৃদয়ের গান।
মুক্তির স্বপ্নে বিভোর বাঙালি বলে, “আর একত্রে নয়,
পথ ছাড়ো।” তোমরা বাঙালিকে ভালোবাসোনি, আর নয়!
বাঙালির কাণ্ডারি আবেগ আপ্লুত সংগ্রামী চেতনায় বললেন,
“আমরা আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসাবে বাঁচতে চাই,
তোমাদের শোষণ নির্যাতন জুলুম থেকে জাতি মুক্তি চায়”।
তারপর তর্জনী তুলে বললেন, “এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম
আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ত্যাগে রক্তের বিনিময়ে
আমরা পেলাম জয় বাংলারদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশ।
আত্মপরিচয়ে লাল-সবুজের পতাকার চির উন্নত বীরের দেশ।
দেশ বিরোধী নরখাদকরা আস্তাকুড়ে, ধিক্কার রাজাকারদের,
স্বমহিমায়, জ্যোতির্ময় শহিদ সেনানী আর মুক্তিযোদ্ধারা।
তোমরা আছো হৃদয়ে। বাংলাদেশের ধ্রæবতারা হয়ে,
বাংলার পতাকায়, তোমরা আছো বাংলাদেশের হৃদয়ে।
বারবার ফিরে আসে আর নতুন করে মনে করে দেয়,
২১ফেব্রæয়ারি, ০৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট আর
                                        ১৬ ডিসেম্বর।
(১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ )