জ্বলতে থাকা কুপিবাতি টি নিভে গেল
প্রচন্ড বাতাসের ঝাপটায়,
হাওয়ায় মিলিয়ে গেল বাঁচার প্রদীপ
আর রেখে গেল কেবল একরাশ নিকষ অন্ধকার!
এ যেন এক অসহায় আত্মসমর্পণ!
যে প্রদীপ জ্বেলেছি শতবছরে কত মমতায়!
জ্বালানি দিয়েছি বুকের রক্ত ঢেলে
তিল তিল করে জ্বালিয়ে রেখেছি
তোমার মুখশ্রী দেখব বলে।
দমকা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল সব!
এখন আমি অন্ধকারে
মুখ লুকাই হরিণ শাবকের মত
গভীর অন্ধকারের ঝোপে!
হিংস্র অন্ধকার ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মত।
অথচ ভেবেছিলাম ঝড়ের শেষে
নতুন আশায় জ্বালবো প্রদীপ,
ঝড় থেমে গেছে, তবে
রেখে গেছে একরাশ অন্ধকার!
যেখানে বাতাসের ঝাপটায় দূরে কোথাও
মিলিয়ে গেছে আমার আলোকযন্ত্র,
কিংবা হয়তো পাশেই কোথাও পড়ে আছে
প্রচন্ড অনাদরে, অবহেলায়!
হায়! আলোহীন আমি কিভাবে খুঁজে পাই
তোমাকে এই নিগূঢ় অন্ধকারে!