আশ্বাস পেলে সমস্ত পৃথিবী
এনে দিতে পারি তোমার পদতলে।
আকাশের বুক চিরে জোৎস্না
এনে দিতে পারি তোমার হাতে।
শুধু একবার আশ্বাস চাই
তোমার অনন্তকালের বেঁচে থাকার।
আমি জানি তুমি কাপুরুষ নও
তোমাকে চিনেছি সাহসের স্তম্ভ হিসেবে।
অসহায় আত্মসমর্পণ তোমার জন্য নয়
আশাহীন মিলিয়ে যাওয়া মুখ তোমার নয়।
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপে মাথা তুলে
যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা ব্যক্তিত্ব তুমি।
আশার দুয়ার খুলে রেখো
অন্ধকার তোমাকে স্পর্শ করবে না
ঝিঁঝিঁ পোকার সাথে সখ্যতা করো
জোঁনাকি তোমায় সঙ্গ দিবে।
এই রাতে যার মিলিয়ে যাবার ভয়
অন্ধকারে যার সিঁধ কাটার ভয়
সে বরং বসে থাকুক কৃত্রিম আলো জ্বেলে!
হিমালয়ের মত ভালবাসার হৃদয় যার
হারিয়ে যাবার ভয় অন্তত সে করে না।
বুড়িগঙ্গার জলে যে মাছের বসবাস
তার অন্তত দূষণের ভয় আর নেই।
যে মানুষ পড়ে আছে যুগযুগ ধরে
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে
ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হবার ভয়
অন্তত তার নেই।
তবুও মানুষ বাঁচে অন্ধকারের বুক চিরে
একদিন সখ্যতা হয় আঁধারের সাথে,
জোঁনাকির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে
বুকে টেনে নেয় মিশমিশে অন্ধকার।
কিসে ভয় পাও তুমি!
বান্ধবহীন পৃথিবী?
অন্ধকারের তরবারি?
নাকি আশাহীন জীবন?
অথচ ভেবে দেখো একবার
অন্ধকারে বিলীন হয় নি কেউ একাধারে
মিশমিশে আঁধার ফুরে আলো এসেছে ঠিক,
যমুনার পাড় ভেঙ্গে ঠিক ওপাড়ে
জমেছে চিকচিক বালির উল্লাস।
যেখানে হয়তো বিচরণ নেই বাবুইছানার
হয়তো তালগাছের ছায়া নেই ভূমির উপর
কিন্তু সেখানেও ছাদ হয়ে আকাশ আছে
মেঘের অভিমানে বৃষ্টি ঝড়ে নিয়ম করে
বালিহাসের রাজত্ব পাবে কিনার জুড়ে।
তাই বেঁচে থাকো সরল বিশ্বাসে
বেঁচে থাকো আশায় আর সম্ভাবনায়।