মেকি সব নিয়মের যাতাকলে
পিষ্ঠ আমাদের স্বপ্ন সাধ!
তবুও আমরা এই সমাজে বাঁচি
আমরাই আবার হয়ে উঠি
ঘুণে ধরা এই সমাজেরই একচ্ছত্র অধিপতি!
সমাজ-সম্মানের প্রলোভনে পরাজিত
দু'জনের শত সোনালী দিন
কাটে পূর্ণিমারাত অসহায় একাকী
তবুও আঁকড়ে ধরি সামাজিক বীণ!
জীবন এখানে বড় বিষাদের
সমাজের স্তনে শকুনির থাবা
তৃষ্ণার্ত শিশুর কণ্ঠ ক্ষীণ
রক্তাক্ত শিশুর ঠিকানা ডাস্টবিন!
ভালবাসা পরাজিত এখানে
পড়ে থাকে অবহেলায়; অনাদরে
প্রাচূর্যের হুংকারে বাঁচে সমাজ
ভালবাসা নিরুপায়।
ধর্ষিতা হয় পূণঃধর্ষিত সামাজিক লিঙ্গে
সম্মানের পারদ উঠে আর নামে কেবল; বিত্তে আর প্রাচূর্যে!
রাজনীতির ময়দান আর সভা-সেমিনারে
বন্দুকের গুলি আজ উপহার মিলে
পাঁপড়ি শুকায় অযত্নে- অবহেলায়
নরক যন্ত্রণায় অসহায় বালিশ ভেজায়!
অথচ অলিতে গলিতে বাড়ে ফুলের দোকান
ফুলগুলো নির্জীব পড়ে থাকে বিছানায়; রাতের আঁধারে।
নিকোটিনের নিয়ন্ত্রণ বাড়ে ফুসফুসে
সামাজিক যাতাকলে পিষ্ট ভালবাসা
সুখ আর শান্তির বিস্তর ফারাক
বেকারের মৃত্যু যেন যন্ত্রণার নাশ!
তবুও আমরা এই সমাজে বাঁচি
আমরাই একদিন হয়ে উঠি এই সমাজের
একচ্ছত্র অধিপতি!
এখানে নিয়ম করে আঁধারের মেলা বসে
অসহায় ফিরে যায় সকালের আলো,
স্বার্থের বেড়াজালে আবদ্ধ জীবন
বিশ্বাসের পরতে পরতে ঘূণ!
মাঘের শীতে উম খুঁজে বরফ জ্বেলে
কাঙালের গলা চেপে সমাজ আনন্দ খুঁজে!
আমরাই হয়ে উঠি এই সমাজের একচ্ছত্র অধিপতি
তবুও এত এত অন্ধকারে পড়ে থাকে সমাজ
অনিয়ন্ত্রিত - ভালবাসাহীন।