এই ঝড়ো রাত
কত কথা
কত আলাপন!
তোমার ভয় পাওয়া
আর আমার উৎকণ্ঠা!
এখন তোমার বিশাল আকাশ
মাথার উপর কত্ত ছায়া।
আমি বড্ড সঙ্গীহারা
আকাশ বড়ই মেঘে ঢাকা
তুমি বরং বদলে যেও
দূরের আকাশ অনেক দূরে।
যেদিন খুব বৃষ্টি হবে
আকাশ ভেঙে জল গড়াবে
জলের শব্দ ছন্দ হবে
আমায় তুমি খুঁজে পাবে।
মাঝরাতে কোন ঘুমের ঘোরে
হঠাৎ তুমি সময় ফুঁড়ে
অতীত কোন পাঠাশালাতে
আমায় হয়তো খুঁজে পাবে।
তুমি বরং হারিয়ে যেও
দূরে কোথাও বহুদূরে
যেথায় শালিক বাবুই ছেড়ে
ইট পাথরেই স্বস্তি খুঁজে।
এখন আমি বাঁধনহারা
অশ্রুজলে ভাসতে জানি
জানি তোমার ব্যস্ত মেলা
নিজেই প্রাসাদ গড়তে জানি।
ইট-পাথরের গলির ফাঁকে
কত্ত লোকের আনাগোনা
সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি
তোমার ছায়ার স্বপ্ন বুনি।
তখন তুমি ব্যস্ত বড়
কত্তজনের স্বপ্ন বাকি
স্বপ্ন সবার ভিজিয়ে দিল
তোমার চোখের রাঙা পানি!
কত শত কথার ছলে
সময় তোমার ফুরায় ঠিকই
উদাস চোখে তাকিয়ে ভাবি
বরং তুমি ভুলেই থেকো।
স্বপ্ন বেঁচে কষ্ট কিনি
তোমার শহরের টাকার মেলা
এখানে বাঁচে অবহেলায়
সেথায় শহর কিনতে বাকি!
হেথায় বিপদ চতুর্দিকে
স্বপ্নগুলি অস্তাচলে
অশ্রুজলে ভাবছি সদা
কোন সুখেতে থাকি ভুলে!
নিজের ভুলেই মরছি ধুঁকে
জানে কেবল অন্তর্যামী
ছেঁড়া কাথায় শুয়ে কেবল
ধরতে গেছি চন্দ্র আমি!
যেদিন তুমি বিদায় চাইলে
সেদিন আমি সব দিয়েছি
আমার জীবন আর অকাল প্রয়াণ
নিয়েছি আমি সবই মেনে।
কিসের টানে কিসের বাণে
দিনগুলি সব হারিয়ে গেল
শান্ত এক নদীর বুকে
জলোচ্ছ্বাসের ঢেউ গড়ালো!
আবার যেদিন বৃষ্টি হবে
টিনের চালে জল গড়াবে
দূর্বাঘাসে শিশির জলে
রোদের হাসি ঢেউ ছড়াবে
যেদিন আবার কদমফুলে
সারা বাড়ি ঘ্রাণ ছড়াবে
রজনীগন্ধার সুবাস নিয়ে
দখিনা বাতাস মন মাতাবে
সেদিন তুমি অতীত মেনে
আমায় ঠিকই খুঁজে পাবে।
যেদিন আবার চন্দ্ররাতে
আকাশজুড়ে তারার মেলা
তারার সাথে মেঘের আড়ি
আমায় সেদিন খুঁজতে মানা।
হাজার বছর পরে এসেও
তুমিই আমার শ্রেষ্ঠ নারী
দিনের শেষে স্মৃতির পাতায়
তোমার ছাড়া ভাবতে নারি।
তোমার জন্য শ্রদ্ধা ব্যাপক
হয়তো তত যায়না বলা
তুমি বরং ভুলেই যেও
আমায় স্মরণ রাখতে মানা।
তুমি বরং বদলে যেও
নিজের মত বাঁচতে শিখো
শেষ বিকেলের রোদের শেষে
একটু হেসো ভালবেসে।