না জানি কি করে তোমার মতো হয়েছে।
কতো দিনের অন্ধকারের অবসান ঘটালে।
বহু প্রতীক্ষিত , তুমিই পতাকা হাতে দাড়িয়ে।
গাছটি বলেছে ডেকে আমায়, লজ্জাবতী লতা তুমি  !

সামান্য ভয়ে নয়,দিনান্তে ঘেমেছি আর ঘামছি।
  বলেছি তাঁকে বহুবার ভিড়াইয়ো না নাও তোমার ,
  হয়নি বাধা ঘাট, ভেঙেছে পাড়
  সমুদ্র নয়,জোয়ার ভাটার দৈত্যাকার ঢেউ কোথায়?
  
তবু কেন মানছেনা হৃদয় , মেনে নিতে তোমায়।
এখনো বাঁধতে শিখিনী ঘর , জাল, মন্দির।
কেবলই উড়োচিঠির মতো উড়তে শিখেছি।
ধরতে শিখিনী কারো হাতের স্পর্শ ।
কেবলই অন্ধকারের ধরিতে চায় বেড়ালের পশমি।

  বহু দিন পরে ডাক এসেছিলো আমার।  
  ভিজে ঘুড়ি নিয়ে উড়বো কতো কাল
শান্ত সকাল, আর অশান্ত সন্ধ্যা ভিজা শিশির বিন্দু
মাটির বুক চিড়ে ছিলো সেই কবে
আজো বুক শুকিয়ে চিড় ধরে আছে
শিশির বিন্দু কিংবা নদীর জলের অধরার গল্পে।

এখনো শেষ হবার বহু কাল বাকি ।
  কবিতা বলেছিলো ডেকে আমায় ক্ষণিক
  আমিই কেবল চিনেছি তোমায় সাত রং
  ছুঁয়েছি তোমার আবছা রোদের ছায়া।
  আজো গন্ধ লুকিয়ে রেখেছি আমার সর্বাঙ্গে।
  তবু কেন মুড়ছে যাও বারংবার।


তবু কেন? নিজেকে পারিনা দিতে উত্তর
প্রশ্নের উত্তরে নিজেকে করি পরাস্ত ,
হাজারো চোখকে কি করে করিবো সুন্দর।
আমি এরকমই , শংসায়ে কালো টিপের আসায়
নিজেকে দিয়েছি বিসর্জন সেই কবিতার হাতে।


জানিনা, স্বর্গ নাকি নরকের দুয়ারে হাত
পিছু হাটার আর কি বাকি আছে আমার?
শৈবালের মেনে নেওয়া জোয়ার ভাটার খেলা,
তবুও দাড়িয়ে আছি পাথর ঘেঁষা বাসায়
নীল পরী কখন এসে কবিতায় রঙ ছড়াবে সেই আসায়।
---- ২৪.১২.২০১৪