ওহে বীর বাঙালি!
ওহে নেংটি পড়া কাদামাখা একাত্তরের শহীদ পাদপের সন্তান,
ওহে মুক্তিকামী সেদিনের ইজ্জত খোয়া সংযতচিত্তের মা, বোন!
ওহে লাল সবুজের মানচিত্র খোঁচিত স্বাধীন পতাকা!


আমি লজ্জীত! আজ আমার গর্ব নেই, যে গর্ব নিয়ে দাঁড়াবো তোমাদের সামনে!
যাঁর মুখের ভাষা ও মোহাচ্ছন্ন বিচক্ষণতার অগ্নিতে পুড়ে তোমাদের হয়েছিল জন্ম,
তাঁর বীর্যের বর্তমান তোমাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ !
যাঁর হাত ধরে জেগেছিল তোমাদের দেশমাতৃকার প্রেম ,
তাঁর বংশ তোমাকে দিলো চার যুগের তিরস্কার!


আজ বড়ই নগ্ন আমি!
যাঁর মুখে শুনি স্বাধীনতার চেতনার বাণী
যাঁর মুখে শুনি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী,
আজ তাঁর মুক্ত চেতনার পরণে দেখি ভিনদেশী পতাকার আদলে শাড়ি!
তাঁর চারপাশে দেখি অপরিচিত শকুনের উল্লাস!


হে বর্তমানের বাংলাদেশ!
হে বর্তমানের মুক্তিকামী জনতা!
হে বর্তমানের কৃষক, শ্রমিক!
হে বর্তমানের বীর নবীন তরুণ!
হে বর্তমানের ছাত্র, শিক্ষক!
হে বর্তমানের কবি, সাহিত্যিক!
হে বর্তমানের পেশাজীবি, সুশীল সমাজ!
হে বর্তমানের দেশপ্রেমী রাজনীতিবিদ!
হয়নি কি ফের প্রতিবাদ করার সঠিক সময়?
হয়নি কি সময় ভিন্ দেশে বসে স্বদেশকে অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখানো এসব কলঙ্কিত রাজ গিরগিটিকে তোমাদের বাহুর বল দেখবার?!


হে সেদিনের লড়াকু বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তমের অভাবী পরিবার,
হে সেদিনের নিষ্পেষিত আজকের রিক্সাওয়ালা মুক্তিযোদ্ধা,
হে সেদিনের বীরাঙ্গনা ধর্ষিতা আজকের পাড়ার পাগলী বোন,
হে সেদিনের স্বাধীনতার ধন্বন্তরি বর্তমানের নিস্পন্দ পঙ্গু বাবা,
হে সেদিনের জ্বালাময়ী সন্তানের বর্তমান দিগভ্রম সম্বলহীন মা,
এখন কি হয়নি তোমাদের ছেলেকে যুদ্ধে পাঠাবার সঠিক সময়?!


হে চির উন্নত যুবসমাজ,
হে মুক্তিকামী দ্বিগ্বিজয়ী শহীদদের আপনজন,
হে নগ্ন শরীরে ফাঁসিতে ঝুলানো মায়েদের ছোট্ট খোকা,
হে রক্ত দিয়ে একাত্তরে হলি খেলা সাহসী বাবাদের  সন্তান,
চলো আর একবার যুদ্ধে যাই!
ফিরিয়ে আনতে;
গণতান্ত্রিক অধিকার, দাসত্বহীন জীবন, সম্মান, আত্মমর্যাদা!
রক্ষা করতে;
স্বাধীনতা, স্বদেশ, মানচিত্র, লাল সবুজ পতাকা!