ওরে নিরঞ্জন পথের প্রানান্তকর শ্মশ্রু ভরা ধ্রুব নবীন দল,
    ঘাতকদল আজ বাজাচ্ছে বিষাণ যদিও আছে তোদের বাহু'তে বল।


মৃত্যুর প্রদাহ দিচ্ছে যদিও তড়িৎ ইশারা
                      বজ্রের আওয়াজে তোদের দরজায়,
জেগেছে আকাশ বাতাস,বিশ্ববিধাতার গায়ে মেখে ছিফাত
                    তখনো নব্য প্রভাতের প্রভাকর ঘুমায় ।

ওরে ভীরু, ওঠ, যে গোধূলী'র বুকে সূর্য ডুবে,
                                    তারই আঁচল তলে রবি হাসে,
অতীতের মলিন ত্বিষাম্পতির বলিদান দিয়ে,
                  নতুনের ঊষার প্রভা ফিরিয়ে আন বসে জয়ের রথে।


এ জীবনের বাঁচার আনন্দের রণরণি ধ্বনির রণতূর্য নীরব করে
                 পাঠাচ্ছে তোদের যারা লাল নিলয়ের অচীনপুরে,
তাদের বুকের রক্ত লালাটে মেখে বীরের আমামা কোমরে বেঁধে
                 শেষ রক্তের জোশ কষে রুদ্রলীলা দেখাও ঘুরে।


আজ উঠাও ঝড়, পোড়াও ধরণী, তরবারি হাতে সামনে চল্ !
   শত্রুর চুল্লি নিভে দিয়ে অট্টহেসে, দেহ মৃত্যুর পাঞ্জা লড় !
খোদার এই নেয়ামতের দান শরীর, কেমনে করিবি ভীরু অস্বীকার?  
শত্রুর বুকে খঞ্জর মেরে দে শোধ, খোদার দেয়া এ মহাদানের ধার! ।
.
.
.
উৎসর্গ: আমাদের 'শতরূপে ভালোবাসা'
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক, জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে।