।।ওদের চিনলাম।।


ওদের ঐ দিন চিনলাম—
যেদিন দেখলাম—
"ডেনিডার" ইংরেজ বাবুর সুইং গাম খুঁজে খেলো ।
যদিও ইহুদি-নাসারায় ওদের বেজায় এলার্জি!
ওদের ঐ দিন চিনলাম—
যেদিন দেখলাম—
নানার সম্পত্তির লোভে -
নানার দেহে দিয়েছে হানা ।
ওদের ঐদিন বুঝলাম—
যেদিন বিয়ের ঘটকালি করতে যেয়ে,
মা-মেয়ের করল সর্বনাশ!
ওদের ঐ দিন চিনলাম—
যেদিন বুঝলাম—
ওদের অনেকে স্বভাব দোষে দুষ্ট।
ওদের ঐদিন বুঝলাম—
যেদিন শুনলাম ছোট বাচ্চাগুলো,
ওদের কাছে পড়তে চায়না!
নিজ সম্মান বাঁচানোর স্বার্থে।
ওদের তখন চিনি—
যখন দেখি—
ভূয়া কথা-পরনিন্দা চালিয়ে যায়,
কাহিনী আর গল্পের গলাবাজি।
ওদের প্রতি প্রশ্ন জাগে
ওরা কি পরপারের সুখমহল নিশ্চিত করে নিয়েছে?
আরো প্রশ্ন—
শয়তানের বাক্সের(টিভি) চেয়ে লক্ষগুন কার্যকর,
মোবাইল নামের মিনি শয়তানের বাক্স কেন হাতেহাতে, বুক পকেটে, সাইট পকেটে?
এভাবে সমাজকে পিছানোর দায়িত্ব ওরা ফেল কিভাবে?
যে ইংরেজি ভাষা আগে অস্পৃহ!
এখন মহামূল্যবান! যখন গার্মেন্টস শ্রমিকও ইংরেজি জানে?
এ উপমহাদেশের বাইরে এসব নেই কেন?
ওরা এতই মূর্খ ও উগ্ৰবাদী
ঘুরে ফিরে বট তলায়, হাস্যকর!
মোটিভেশনাল মিষ্টির গল্প ওরাই বলে
আবার নিষ্পাপ শিশুদের পশুর মত পিটায়!
ওদের প্রতি ধিক্কার জন্মায় ঐদিন —
যেদিন দেখি বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষা করায়, এরা মানুষ?
এরা টেক্স, ডোনেশন, গ্ৰ্যান্ড,জিজিয়া, যাকাত,গনিমত এসবের মাঝে আর ভিক্ষার মধ্যে পার্থক্য পায় না!
ওরা পিতামাতাহীন নিরীহদের
আরো নিরীহ করে গড়ে তোলে পেট চালান বোর্ডিং—
যেন নিরীহের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া!
যুগের পর যুগ এরা বেহুদা-বাড়তি শিক্ষা ও কর্ম বিস্তার করে ।
যে ভাষায় শিখে নিজেরাই অর্থ বুঝে না ।
সতীর্থদের কথা বাদই দিন ।
ওরা মহিলা শ্রমিকদের নিয়ে বাজে মাতে,
আরেক ভাই তার ঐ মহিলাদের দ্বারে  হাত পাতে !
ওদের মাঝে যারা সাধারণ,
তারা সৃষ্টি কর্তার কাছের ও ধ্যানী,
ওদের জানাই সাধুবাদ।
যদিও পরিমানে অতি নগন্য।
ওরা সাধারণ মজলুম, ওরা দলছুট,
ওরাই মোদের গর্ব।
যারাই ভন্ডামি ব্যবসার লেবাস ছেড়ে সাধারণ হবে, তারাই সেরা।
তবে তারা হবে না,
কারন ওরা শয়তানের বন্ধু—
আমাদের সাধারণের বিশ্বাসে,
ওরা খেলা করে—মজা পেয়ে গেছে।
ওরা কথা বলে বেশি, কাজ করে কম।
ধ্যানে নেই ওদের মন,
কথায় ওরা বাঁচাল।
মানুষকে ওরা অন্ধকারের ভয় দেখিয়ে,
ভিক্ষার টাকা চায়,
আর তা দিয়ে মাস্তি মারে ।
স্বর্গ ও নরকের ভয় দেখিয়ে
টাকা উঠিয়ে নিজ পকেটে ভরে!
বিশ্বের কোন সমাজে না থাকলেও
ওরা এ উপমহাদেশের সমাজে ভরপুর।
ওদের প্রতি ঘৃনা, এভেবে যে,
একজন নাস্তিক নিজের ক্ষতি করে,
আর একজন ভন্ড আস্তিক—
পুরো ধর্ম ব্যবস্হা ও সমাজের ক্ষ তি করে ।
এতে ওরা নাস্তিকের চেয়েও জঘন্য।
শয়তান ছিলো ভালো
কর্ম দোষে হলো দোষী ও পাপী ।
ওরা ওর বন্ধু হয়ে কেমনে হয় নিষ্পাপ?
সময় আছে আজো—
ভন্ডামি ছেড়ে দিয়ে হও ভালো।
সেবা কর মানব জাতির,
লও পুরস্কার—
হও ধন্য হে মূর্খ জ্ঞানী!
সেবায় নিবেনা বিনিময়!!
পেট চালাবে অন্যসব পেশাজীবী রূপ।
তাহলেই উপর ওয়ালা খুশী হবে খুব ।
আর তোমাদের আজ চিনিলাম ভালো।
নিজেদের খুঁজে পাওনি মোর লেখনী মাঝে।
তাহলে তুমিই আসল—
তুমিই মানব, তুমিই প্রকৃত ।
বুঝাও ওদের ছাড়তে,
এসব ভন্ড রাজার বেশ ।
একদিন তারে কর্তার দ্বারে
করতে হবে সবি পেশ ।
সেথায় ফিরে তাকানোর—
আর নাহি পরিবেশ।
বুঝবে শেষে দুনিয়াতেই—
সব করেছে শেষ!


- ১৬/৬/২০২৩ ইং
শুক্রবার
ঢাকা, বাংলাদেশ।