আমি আজ সবাইকে বলে দিয়ে যাবো
আনন্দের সাথে সুনন্দিতার গোপন প্রণয় কাহিনী।
বুকের মধ্যে, হৃদয়ের মধ্যে আর কতকাল
লুকিয়ে রাখবো দক্ষিণ মেরুর জমাট বরফ!
শ্বেত ভল্লুকের লোমের উষ্ণতা আনন্দকে
দিতে পারবে না সুনন্দিতার কোমল বুকের
উষ্ণতার উম।


আমি পুনর্বার জেগে ওঠবো স্বচ্ছ বরফের চাঁই ভেঙে
মৃত চোখে শীতল ঘুমের অতল হতে।
রাত্রিকে পাঠিয়ে দেবো জন্ম জন্মান্তরের নির্বাসনে।
রবির কিরণে হৃদয়ের চতুর্পাশ হতে গলে যাবে
ভয়াল মৃত বরফের চোখ। গ্রীষ্মের খরতাপে
নিকানো উঠানে শুকিয়ে নেবো আর্দ্র হৃদয়।
অতঃপর নতুন করে শুরু করবো বৈশাখের প্রথম দিনে।


আর তখন, হেমন্ত উৎসবের নামে বিরহের বিষাদ
গিলে খাওয়ার উৎসব হবে। সুনন্দিতা ও আনন্দের
মিলনে ওয়াংগালার মচ্ছব হবে।
সুনন্দিতার শ্রাবণ চোখে বইবে আনন্দঝড়।
সুনন্দিতা, তুমি বুঝতেই পারবে না তোমার
সোনালী উরুর ভাঁজে পড়ে থাকবে এই আনন্দের
অনাগত উত্তরাধিকার।
কদিন বাদেই তোমার বেদনার নীল চোখে
উপচে পড়বে আনন্দের হাসি।


তখন না হয় এই পুরনো আনন্দকে চিরতরে ভুলেই যেও সুনন্দিতা...
২৫-০১-২০১৮