ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।


আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে  ৭৮- ৮৪ পোস্ট দিলাম।


মাটির টানে


৭৮
বার বার মরে যাই
হতাশার চোরা ঘায়ে
মরে গিয়ে বেঁচে ওঠি
মাটি মেখে সারা গায়ে


অনুভবে জাগে রোজ
হৃদয়ে মাটির টান
এই মাটির জন্যই
প্রাণ করে আনচান!


৭৯
চোখের তারায় থাকে
জেগে হৃদয়ের আশা
যত দেখি তত বাড়ে
তার দুরন্ত পিপাসা


মনোরম বাংলাদেশ
কবিতায় শব্দধারা
তোমাকে ছেড়ে কী করে
হই আকাশের তারা!


৮০
থাকে যদি ঘিরে চোখে
ঘনঘোর অন্ধকার
তবু জন্মাবো এদেশে
ভীতিহীন বার বার


নির্দয় মৃত্যুর সাথে
সন্ধি করে কায়দায়
হেরিতে অনিন্দ্য রূপ
ফিরিবো এই বাংলায়!
০৯-০৮-২০২০


নক্ষত্রের আলো দিতে


৮১
বাদল দিনের শেষে
সুরের তরঙ্গে ভেসে
মুছে দিতে অবসাদ
কাছে এসো ভালোবেসে


অনন্ত প্রান্তর বন
ঘুরে উদাস নয়ন
তোমাকে ঘিরে আমার
এ অনিন্দ্য আয়োজন!


৮২
তুমিহীন অতর্কিতে
সব স্তব্ধ হয়ে যায়
তোমাকেই খুঁজে চোখ
আকাশের নীলিমায়


ভরে দিও বকুলের
বিরহী শুকানো শাখা
আমার এ শুন্য হৃদয়ে
মেলে হৃদয়ের পাখা।



৮৩
তুমি এসো প্রভাতের
তরুণ অরুণোদয়ে
হেমন্ত রাতের শেষে
শিশিরের চোখ হয়ে


অধরে অধর রেখে
তুমি ফেলিও নিঃশ্বাস
বাষ্পায়িত করে দিও
হতাশার দীর্ঘশ্বাস।


৮৪
স্মৃতিগন্ধা সন্ধ্যা হয়ে
মেঘমন্দ্রিত গোধূলি
আমার হৃদয়োদ্যানে
ফেলিও চরণধূলি।


একাকীত্বের আঁধারে
নক্ষত্রের আলো দিতে
তুমি এসো প্রভা হয়ে
কবিতার সুরভিতে
১১-০৮-২০২০