ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।


আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে ১০-১৬ পোস্ট দিলাম।


পিরিতির কানমলা


১০
বেশি বেশি ভালোবেসে
খেতে হয় বাঁশডলা
তবু ভালো লাগে খেতে
পিরিতির কানমলা!


প্রেমহীন হৃদয়ের
এ জগতে নাই দাম
কে পড়ে ডাকবাক্সের
চিঠিহীন ফাঁকা খাম?


১১
ভালোবাসা পেতে হলে
ভালোবাসা দিতে হয়
রাগ অনুরাগ ছাড়া
ভালোবাসা তিতে হয়!


মিঠেকড়া ভালোবাসা
খুব বেশি স্মৃতিময়
অভিমানে অভিঘাতে
ভালোবাসা দৃঢ় হয়।
১৩-০৭-২০২০


খবিশের খাস চেলা


১২
বিশ্বলোকে বহু আছে
খবিশের খাস চেলা
অহরহ তাই চলে
প্রতারকি কত খেলা!


লীলাময় নাচ নাচে
ভেকধারী টকবাজ
চামচামি করে ওরা
দেশটাকে খেলো আজ!


১৩
খবিশের উৎপাতে
হাসিনার নাই ঘুম
ভালো যত করে কাজ
ইবলিশে করে গুম!


সুসময়ে থাকে কাছে
অসময়ে পিছুটান
চারপাশে ঘিরে থাকে
মোনাফেক বেইমান!
১৩-০৭-২০২০


একা হলে


১৪
সুনন্দিতা কাছে এলে
বিভাবিত মন হাসে
একা হলে বেদনারা
নাচে বুকে বামপাশে!


বিগলিত অন্তরের
বিদলিত অবতলে
অনাদৃত আগুনের
ভয়াবহ শিখা জ্বলে!
১৩-০৭-২০২০



স্মৃতির তিতির


১৫
স্মৃতির তিতির রোজ
ডেকে যায় গলা খুলে
হৃদয়ের মনিটরে
চোখ মেলে থাকে ঝুলে!


বাতাসের হাতে দেয়
জানালায় মৃদু টোকা
শুকানো বকুল বেলি
রেখে যায় থোকা থোকা!


১৬
কদমের চোখে ঝরে
আষাঢ়ের ভাসা জল
বুকের পাঁজরে কষ্ট
করে ওঠে খলবল!


বুক খোলা কামিনীর
রূপ দেখে চোখ ঘোলা
পাষাণে কি বেঁধে বুক
স্মৃতিদের যায় ভোলা?
১৩-০৭-২০২০