ছন্দনদী অষ্টপদী-এই ফরমেটটি আমার উদ্ভাবিত ছড়া/কবিতার নতুন কাঠামো। চতুর্দশপদীর অনুরূপ অষ্টপদী। যার পঙক্তি সংখ্যা আট এবং প্রতি পঙক্তিতে থাকবে আট অক্ষর। এভাবে আট অক্ষর এবং আট পঙক্তির পরম্পরার মাধ্যমে একাধিক অষ্টপদী দ্বারা দীর্ঘ একটি ভাবকেও প্রকাশ করা যাবে। নিরীক্ষাধর্মী এই কাঠামোটির উৎকর্ষ সাধনে ছান্দসিক কবিগণের যে কোন পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে। আশা করি কবিতার রাসাস্বাদন থেকে কাব্যামুদি পাঠক বঞ্চিত হবেন না।


আপনাদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজনে আজ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে ১-৯ পোস্ট দিলাম।



জমা থাকে
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান


দুঃখগুলো অবিচল
হৃদয়ের পরিসরে
সুখগুলো আসে যায়
লুকোচুরি খেলা করে!


স্বপ্নগুলো দূরে থেকে
হাতছানি দিয়ে ডাকে
অপ্রাপ্তির বেদনারা
মনাধারে জমা থাকে!
১১-০৭-২০২০


অভাবের কলকল



জল থৈ থৈ চারিদিকে
সবকিছু ভেসে যায়
বিচলিত জনগন
ভেবে কূল নাহি পায়!


জমির ফসল ডুবে
রান্নার চুলায় জল
শিশুদের কান্না ভাঙে
কৃষকের মনোবল!



করোনার মহামারী
মৃত্যুর মিছিল আসে
বানের তাণ্ডবে ফের
বাঁচিবার স্বপ্ন নাশে!


পথে ঘাটে হাটে মাঠে
মানুষের চোখে জল
নিদারুন স্বভাবের
অভাবের কলকল!



আকাশের ঘন নীলে
বেদনার উহু স্বর
ব্যাধি জরা জল এসে
মানুষের ভরে ঘর!


গতি নাই অতি পাপে
ন্যায় নীতি বোধ ক্ষয়
ক্ষমা চাই যদি পাই
বিধাতার বরাভয়!
১১-০৭-২০২০



মন খুঁজি কবিতার



বেদনার বালুচরে
নড়বড়ে বাঁধা ঘর
মন কাঁপে থরোথরো
দেখিলেই মরুঝড়!


আকাশের গায়ে জমা
ঘন নীল বেদনারা
চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে ভিজে
হৃদয়ের এই পাড়া!



ছলছল আঁখিপাতে
আষাঢ়ের নামে ঢল
হৃদয়ের বাঁকে বাঁকে
শুনি স্বর কলকল!


মাছেদের মতো করে
ঝাঁকে ঝাঁকে বয় ব্যথা
থামানোর কেউ নেই
মৃতবৎ থাকি হেথা!



তারা দেখে কাটে নিশি
সাথী কেউ নেই আর
ঝিনুকের পেট কেটে
মন খুঁজি কবিতার!


শালিকের পায়ে বাঁধি
শামুকের গড়া মল
বেদনায় ঢাকা হৃদে
ওঠে রোদ ঝলমল!
১১-০৭-২০২০



বেদনার ধারাপাত



নিঃশব্দিত মধ্য রাতে
দুটি হাত নিশপিশ
সুছন্দিত কবিতারা
সঙ্গোপনে ধরা দিস।


বিষাদের জলে ডুবে
কবিতার খুঁজি হাত
কবিতাকে পেয়ে ভুলি
বেদনার ধারাপাত!



কবিতার মধুরেণু
অনুরাগে করি পান
কবিতার ছোঁয়া পেলে
নেচে ওঠে মৃত প্রাণ!


কবিতার লাগি রোজ
জেগে থাকি নিশিরাত
বিব্যঞ্জিত কবিতারা
ছুঁয়ে দিস এই হাত!
১৩-০৭-২০২০