“শূঁটকির আড়তে বিড়াল চৌকিদার” অথবা
“বেড়ায় ক্ষেত খায়” কথাটাগুলোর মানে
জিজ্ঞাসা করা হলে স্কুলে শুধু মাথা চুলকাতাম।
পণ্ডিত মশায়ের ভারী কথায় কান না পেতে
অপলক তাকিয়ে থাকতাম- তাঁর নাকের ডগায়
ঝুলে থাকা চশমার মোটা কাঁচে। কখন কার দিকে
নজর পড়ে; আর তেড়ে এসে জালিবেত দিয়ে
পিটিয়ে পিঠের ধূলি ঝাড়ে।


কথাগুলোর মানে যখন বুঝলাম; তখন দেখি
মোরগের খামারে শিয়াল পাহারাদার। প্রতিদিন
একটি করে খায় আর মালিককে বুঝায়-
“রানীক্ষেত মালিক, রানীক্ষেত”। রানীক্ষেতের বাণী
মালিক মেনে নিলেও মেনে নিতে পারেনি
মোরগের ঝাঁক। প্রাণ বাঁচাতে একদিন সমস্বরে
দেয় কুককুরুক্কু ডাক। চতুর শিয়াল ধরা পড়ে
হাতেনাতে।


মোরগের ঝাঁকের মতো জনতা জেগে ওঠো আজ
হাতেনাতে ধরা পড়ুক সুচতুর দুর্নীতিবাজ।
২৪-৪-২০১৮