সময়ের ঢেউ প্রবল প্রতাপে লাফিয়ে লাফিয়ে
চুরমার করে শরীর ও মন।
শিথিল স্নায়ুর সেন্সরে পড়ে না ধরা ব্যথার প্রাবল্য।
রূপালি জোছনা উছলে পড়ার দৃশ্য ভাসে না
চোখের মনিটরে।
মুক্তির চেতনা বন্ধক রেখে ধর্মের স্যুপ গিলি
স্বর্গের আশায়।
হতাশার আহাজারি আতরের মতো বাতাসে মিলায়।
কপালের বলিরেখা পলি পড়া মৃত নদীর সংকেত
চামড়ার ভাঁজ পাড় ভাঙা মাটির হঠাৎ জাগা বালুচর।
এমন অবোধ অচেতন বাঁচা আর মরার জানি না ব্যবধান!


মাঝে মাঝে আকাশের তারা হবার জাগতো সাধ
এখন এমন সাধের কথা স্বপ্নেও ভাবি না। ভাববার-
নেই কোন অবকাশ।
নির্জলা রাতের অন্ধকারে কজন আছে তেমন আর-
ঘাড় বাঁকা করে অমল ভালোবাসায় আকাশের তারা দেখে!
মৃতের ধূসর চোখে কেউ রাখে না চোখ প্রগাঢ় মমতায়!
যেহেতু মানুষ ও মৃত্তিকা একে অন্যের স্বজাত-
পরিপূরক পরিজ্ঞাত
সেহেতু অজড় এই আমি পচে হবো অনুর্বর-
মাটির বুকের জৈব সার
প্রাণহীন হয়েও অসংখ্য প্রাণের গভীরে করে-
যাবো প্রাণের সঞ্চার।
০৪-০ ১-২০২১