(নিজস্ব কাঠামো একুশ শব্দ ও তার আবর্তনে রচিত)


৩৬
সম্পর্কের সেতু ছিঁড়ে
শুনোনি নৈবেদ্যের বিলাপ। আর-
যেই থেকে নাম ধরে ডাকো না
সেই থেকে ফোটে না গোলাপ
অভাবিত দহন একার।


৩৭
উত্তাপ ডানায় ভরে ফিরে
সন্ধ্যায় বালিহাঁসের ঝাঁক
বাতাসের ঝাপটায় ঝরে পড়ে
বিরহী বকুল
তোমার না ফেরা-মানেই প্লাবনে ভাসা
দুচোখের উপকূল।


৩৮
সকল জলাজঙ্গল ভেঙে
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
দিয়েছো উপেক্ষার আগুন।
আগুনের কি থাকে পোড়ার ভয়?
নষ্ট আমার কষ্টজীবন,
এই জীবনই সানন্দে মেনে নিলাম।


৩৯
হাসির আড়ালে আমি বেদনা লুকাই
কাশির আড়ালে লুকাই কষ্টের কাশবন।
একাই মাড়াই কণ্টকিত পথ
তবুও রাতের নির্জনতা দেখে ফেলে
চোখের প্লাবন।


৪০
হৃদয়ের বন্ধন দিয়েছো খুলে;
দাও
চুম্বনের চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ক্ষয়;
হোক
আমার তো তাড়া নেই
নোনাজল অরণ্যের পিঁড়িতে বসেই
কাটাবো সময়।
০৩-০২-২০২১