তোমার চোখে প্লাবন; ভাঙছে কি হৃদয়ের তীর?
এমনটিই তো হওয়ার কথা। কত করে বুঝিয়েছি
বেশি খোড়াখুড়ি করো না; ভেঙো না বুকের পাঁজর।
জানোই তো উজানের জল ভাটিতে গড়ায়। মেঘকেও
ধরে রাখে না আকাশ। চোখ কেন ধরে রাখবে কান্নার
জল? প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে আমার কান্নার শব্দ
এখন তোমার দম্ভের দেয়ালে প্রতিধ্বনি তোলে।
এ তোমার অশ্রুস্বর নয়। বাতাসের ফিসফিস। ভালো-
করে কান পেতে শোনো। হ্যালোসিনেশন কেটে যাবে।
সোলার বাতির আলোয় রাতের আগমন-
কি যায় ঠেকানো? বড়জোড় কিছুটা পাল্টানো-
যায় রঙ; মানুষ যেমন তার রঙ বদলায়। রাতে বন্য
দিনে অন্যরকম সুশীল। মানুষও মাঝেমাঝে
পাখিজীবন ধারণ করে। রাত জাগে। ভোরের দরজা-
খোলার আগেই ফুরুৎ চড়ুই। আমারও তো অনন্ত-
আকাশে উড়ার সাধ থাকতে পারে; যেমন তুমি ওড়ো।
চোখ যখন জলজ আকাশ, তখন জলোচ্ছ্বাস
ঠেকানোর সাধ্য না তোমার আছে; না আমার আছে
কী লাভ ক্ষতগুলো দেখায়ে শত ঊনমানুষের কাছে?
ধরেই নিয়েছি, কাকজীবনই আমার নিয়তি।
অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙার সামর্থ আমার যে নেই।
২২-০৬-২০২২