পাঁজরে পুষ্পের পরাগ মেখেছি; দেখেছি তোমার-
মস্তকে বিধ্বস্ত ভাবনার হরপ্পা নগর। অশান্তির-
অবসানে প্রশান্তির সন্ধানে সরসিজের ঘর খুঁজে
একদিন এখানে বসবে তুমি ব্যাকুল ভ্রমর।
জানি তোমারও ব্যথা আছে একবুক;
আমার যেমন আছে প্রেমের অসুখ।
ধৈর্যের বাকল কতকাল থাকে আর বলো
অক্ষত সজীব; কতকাল বলো ভালো লাগে
লোনাজলে ডোবা বালিয়াড়ি ধূসর জীবন?
আমারও তো প্রবল ইচ্ছে জাগে বুকের ভূমিতে
ঘাস হই; হাঁস হয়ে কাটি সাঁতার শরীর সরোবরে
উপভোগ করি বনবীথির শীতল ছায়া মায়ার আঁচলে।
ইচ্ছে করে, ভালোবাসার ক্ষুধায় পান করি
অধরের সুধা, মধুপের উপমায়। আমিও তো নাগরিক-
এই প্রেমের নগরে।  তোমার শরীর শহরের জমি -
গজারের পেটে রেখো না গচ্ছিত গোপনে গোপনে।
তোমাকে ছোঁয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় বাড়িয়ে রেখেছি
হাত; অজস্র রাত ঝরছি সুহিল শিশির। এখানে উল্লাসে-
উড়াবে বলে বুকের ভেতরের শতরঞ্জি হাহাকার
প্রেমের পশমী সুতায় বুনবে শীত যাপনের সোয়েটার
বাবুই ঠোঁটের ফোঁড়নে চুম্বনে চুম্বনে করবে -
সেলাই ভালোবাসার নরম নকশীকাঁথা।
১৮-০২-২০২২