হলে ভোর খুলে দোর উঁকি মারি বাহিরে
উঠে রবি ফুটে আলো আঁধার আর নাহিরে।
রোদ ওঠে ভোর ফুটে চারদিক ফরসা
চিক চিক করে আলো নাই কোন বরষা।
মেয়ে ধরে হাসি ভরে কাঁধে চড়ার বায়না
ছেলে কাঁদে মা রাঁধে ডাকি খোকা আয়না।
করে চুপ দেখো রূপ শরতের সকালে
জাল ফেলে কাটা খালে কত মাছ ধরে জেলে।
হাল খুলে পাল তুলে মাঝি তরী বেয়ে যায়
প্রাণ খুলে সুর তুলে ভাটিয়ালী গান গায়।
শুনে গান ভরে প্রাণ চেয়ে থাকি নিরবাক
বালিহাঁস ঝিলে নামে ঊড়ে এসে ঝাঁকে ঝাঁক।
তই তই দেখো ওই জলে ভাসে মরাল ছানা
মরালী তার সামনে থেকে জল ঝাড়ে মেলে ডানা।
সাদা বক চক চক ঊড়ে যায় আকাশে
কাশ ফুল খায় দোল মৃদুমন্দ বাতাসে।
মৌ মাছি কাছাকাছি যায় মধু আহরণে
গান গায় গুণগুণ ওই ফুল ফুটে বনে।


ছোট্ট কুটির কিচির মিচির চড়ুই বুনে বাসা
ফুলের সুবাস ভোরের বাতাস মিষ্টি মধুর খাসা।
শিউলি বকুল আরো কত ফুল গাছের সবুজ পাতা
ওই চেয়ে দেখ শিশিরি ভেজা শ‌্যামল বঙ্গ মাতা।
রাতে ঘুম প্রাতে জাগো হও জ্ঞানী ধনী
ফুলের সুবাস শুদ্ধ বাতাস বুক ভরে  লও টানি।
হবে সবল দেহ মনোবল নিলে ভোরের হাওয়া
ভরবে আঁখি ফুল পাখি দেখে আসা যাওয়া।