যেদিন প্রথম দেখা হলো তুমি আমি মুখোমুখী
চোখে চোখ অপলক মুগ্ধতার মাখামাখি
ভাষা নেই মুখে, চোখে কামনার আহবান
অলক্ষ্যে কম্পিত করতলে দুজনার করতল।


নিরবতা ভেঙ্গে নড়ে ওঠে তোমার কমলাকোয়া ঠোঁট,
“কী দেখো অমন করে?”


হুশ ফিরে পাই বিদিশা নাবিক আমি, নিরুদ্দেশ যাত্রা পথে
থমকে দাঁড়াই ভূত দেখার মতোন। সামান্য বিরতি দিয়ে
বলে যেতে থাকি-
দেখি গোলাপের মতো লাল ঠোঁট
পৃথিবীর সমস্ত আঙ্গুর রোমন্থন করে আনা আরক জমা যে ঠোঁটে।


তোমার সে রক্তিম অধর কেঁপে কেঁপে ওঠে বলে,
“আর?”


আর দেখি দুধসর সরোবরে ফিনায়িত ঢেউ
মাছেদের সাঁতার সাঁতার খেলা, সবুজ শৈবাল,
দেখি ভ্রমর কাজল চুলের গহীনে বিম্বিসার অন্ধকার
যেখানে রাতের আকাশে তারার মেলা বসে
চলে নক্ষত্রের নিঃশব্দ নিরব হাঁটাচলা।


দেখি উর্বর শরীরে হেমন্তের সোনাঝরা ধান ক্ষেত
সিঁথির মিহিন ভাঁজে সরু আলপথ; দিক ভোলা
বন্ধুর সে পথ; পথের ও প্রান্তে বিদ্যুত চমকে ঝলমল স্বপ্নের শহর
যে পথের ডাকে পথ হারা আমি প্রথম দেখার পর
ঘুরে এলাম সে পথে শত সহস্র বছর...
২৯-৮-২০১৯