(একুশ শব্দের আবর্তনে স্বরাক্ষরিক ছন্দে রচিত)


সাতই মার্চ; গর্জে ওঠার দিন
শেখ মুজিবের কণ্ঠে
রেসকোর্স মাঠে
বাজলো প্রলয়বীণ।
তর্জনির কী ধার!
কাটলো হাওয়ায় নেচে
পাক শাসকের ঘাড়।


ঘরে ঘরে দুর্গ গড়বার দুঃসাহসী ডাকে
নিপীড়িত বাঙালিরা এলো ঝাঁকে ঝাঁকে।
করলো শপথ অযুত নিযুত হাত
স্বাধীনতা আনবে টুটে অন্ধকারের রাত।


সাতই মার্চের মহাকাব্যিক ভাষণ
গুড়িয়ে দিলো স্বৈরাচারের
অনধিকার শাসন।
এনে দিলেন স্বাধীনতার রবি
বঙ্গবন্ধু- কীর্তিমান ও বীর বাঙালি
রাজনীতির এ কবি।


দেশের ভালোবাসায়
জ্বললে আগুন বুকে
কেবা তারে রুখে?
একটি পতাকা স্বাধীন স্বদেশভূমি
দিয়ে বাঙালিকে
প্রশান্তিতে
ঘুমিয়ে গেলেন কবি
মধুমতির নির্জনতার বাঁকে।


হেমিলনের বংশীবাদক
তুমি নেই আজ
এতেই কি শেষ?
তোমার ভাষণ চেতনায় উদ্দীপিত
কোটি বাঙালি একত্রে
এখনো হয়ে ওঠি একটি
মনোরম বাংলাদেশ।
০৭-০৩-২০২১