এই যে তুমি সাঁতার কাটো মনপুকুরে
হাঁসের মতো, মাছের মতো
কিংবা হাঁটো হৃদউদ্যানে রাত-দুপুরে
বাদ্য বাজাও জলনূপুরে
দেখতে কি পাও, আমার বুকে পাথর চাপা
সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট;
হৃদপিণ্ডের ওই ধুকপুকানি শুনতে কি পাও;
স্ট্যাথোস্কোপে কান না রেখেই হয় কি স্পষ্ট?
বুঝতে পারো মনের কথা; পড়তে পারো চোখের ভাষা?
অনেক আশা তোমায় ঘিরে,
জীবন নদীর সবুজ তীরে
তোমায় নিয়ে বাঁধবো বাসা পাখির মতো
বাসবো ভালো অবিরত
জানবে না কেউ।
জল দেখি না, ঝড় দেখি না;
তবু কেন তেড়ে আসে দুরন্ত ঢেউ!
প্লাবিত হয় চোখের দুকূল
নিয়তির কি এটাই তবে শেষ পরিহাস;
মাছের মতো কানকো খুলে
জলের ভেতর বুদবুদ তুলে
হৃদমহলে ফেলে চলো ক্লান্ত শ্রান্ত
খুব দীর্ঘশ্বাস! কী তবে এই জীবনের ভুল?
খুব বেশি কি ছিলো চাওয়া?
একটি স্নেহের আঁচল পাওয়া
ক্লান্তিগুলো মুছে দিয়ে, আদর করে বুকে নিয়ে
সুখ সমুদ্রে ভেসে যাওয়া
দুটি হৃদয় একটি হওয়া
কষ্টাঘাতের নষ্ট ক্ষতে কোমল হাতে
শীতল জলের স্পর্শ পাওয়া।
এক জীবনের ছোট্ট সময় গেলো কেটে
আশায় আশায়
ফুলের ভাষায়, জলের ভাষায়
তাও দিলে না অভয় আমায়।
আমি এখন একলা রাতে আকাশ দেখি
তারা গুনি
পাখির উড়ে যাওয়া দেখে
সন্ধ্যাকাশের আবীর মেখে
স্মৃতির সারস কন্ঠ শুনি।
তুমিই বলো, এমন কেন ভাগ্য হলো
গুছিয়ে রাখা ভাবনাগুলো
সামান্য মেঘ বৃষ্টি হাওয়ায়, আমার থেকে
সুন্দর ও সুখ স্বপ্নগুলো অনেক দূরে
যায় চলে যায়; আকাশপাতাল ভাবনাগুলো
হট্টগোলে চোখের পাতায়, ঘুণপোকাদের
মতোন এসে ঘুম কেড়ে খায়, নির্জনতায়
একলা কাঁদায়, বিনা বাধায়
চোখের পাতার ঘুম কেড়ে খায়...
একলা কাঁদায়, বিনা বাধায়
চোখের পাতার ঘুম কেড়ে খায়...
ঘুম কেড়ে খায়... একলা কাঁদায়...
২০-০৩-২০২১