১৬
তোমার পথের দিকে চেয়ে থেকে অন্ধ হয়েছে চোখ
পূর্ণিমার আলো জানিয়েছে শোক
যিশুর হাতের মতন তোমার ছোঁয়াতে সারতো আঁধার অসুখ।


১৭
বহুকাল ধরে খেলছি তোমার সাথে
প্রেমের ডাংগুলি
ক্রিকেট বুঝি না বলে হাঁকাতে পারিনি
ভালোবাসার দৃষ্টিনন্দন ছক্কা- পারিনি
হতে সৌরভ গাঙ্গুলি!


১৮
তোমাকে দেখবো বলে নদীজল জোছনার আলোকে তাকাই।
বিভ্রান্ত চোখে তোমাকে শেফালির বুকে দেখে
সুরভি সৌন্দর্যে অদ্ভুত মিল ভেবে তালগোল পাকাই!


১৯
স্বপ্নাহত জীবনের প্রান্তে এসে ভুলেই গিয়েছিলাম
ফুল পাখি নদী জল জোছনার সৌন্দর্যের কথা
তোমাকে কাছে পেয়ে বেড়েছে অধিক বাঁচার আকুলতা!


২০
কবিতার মতো অপরূপা তুমি; শরীরের ভাঁজে ভাঁজে-
উপমা প্রতীক অনুপ্রাসে ছন্দ ঢেউ খেলে!
কবিহীন ভুবনে এমন সৌখিন কবি কোথায় পেলে?


২১
তোমার অবহেলায় ঈশানের মেঘ নামে চোখে
হৃদাকাশে বাজে বজ্রের বিকট ধ্বনি
শরীরের সেন্সরে অজস্র সিগন্যাল আসে
অবিরাম অতিকায় অযত্ন অশনি!


২২
ভদ্র মহোদয়গণ, মনোযোগের সাথে শুনুন
যেসকল শ্রমিকের ঘামভেজা ইটের প্রাসাদে
খাচ্ছেন এসির আরাম-তাদের পেটে-
জ্বলছে ক্ষুধার উনুন-চোখ খুলুন!


২৩
অপূর্ণ ইচ্ছের দহন চলে দেহের ভিতরে বাহিরে।
শোনে না বিরানভূমির হাহাকার-
বৃশ্চিক সময়।
আগুনের জলসিঁড়ি পার হতে পারে না হৃদয়!


২৪
যতবার ছুঁই তারে, সুখ সরোবরে আচানক
ওঠে ঢেউ
ঝরঝর ঝরে অবিরাম জলের প্রপাত
চাবিহীন খুলে যায় সুখের ঘরের আবদ্ধ কপাট!


২৫
শেষ বিকেলের হলুদ আলোয় মিটায়ে দিয়েছি
জীবনের সব লেনদেন
স্বপ্নাহতের হাহাকার শুনোনি? এতদিন-
কোথা ছিলে প্রিয়া মোর কল্পনার বনলতা সেন?
০১-১১-২০২০