"এনে দে, এনে দে, বুকের মানিক
কিংবা তাহার অংগ পোড়া ছাই
কোলে তুলিয়া আদর করিয়া
বুকে জ্বলা ব্যথার আগুন নিভাই।"


ছেলে হারা হতভাগ্য এমনই এক মায়ের আহাজারি
বিশ্ব মিডিয়ায় ঝড় তুলিয়া ঝরায় অশ্রুবারী।
লাশের পরে আসে লাশ
লাশের স্তুপে ভরে পোড়া ক্যামিকেল গোডাউন
ইহা যেন সাতষট্টিটি পোড়া লাশের প্রতিবাদ মিছিলের শোকাতুরা শোডাউন।
ভাইয়ে ভাইয়ে জড়াজড়ি ধরিয়া
আগুনে পুড়িয়া মরে
বুকের ভিতরে আগলে রাখিয়াও
পারেনি বাঁচাইতে প্রাণাধিক প্রিয় শিশু
সেও যায় চলিয়া ভুবুক্ষু অগ্নি গহবরে।
অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীটিকেও বাঁচাইতে পারেনাই যেই স্বামী তাহার
ভালোবাসার অতুল মূল্যে সহমরণে হইলো পুড়িয়া অংগার।
চারটি বন্ধু যেথায় বসিয়া আডডা জমাইতো রোজ
পোড়া চার খুলি পড়িয়া গড়ায় পথে, তাহারাও হইলো ক্ষুধাতুরা আগুনের ভোজ।
কত মানুষের সহায় সম্বল স্বপ্ন পুড়িয়া হইলো সারা
কাহার ভুলেতে এই ধ্বংসযজ্ঞ; দায় স্বীকার করিবে কাহারা?
কী আগুন! কী আগুন! ফাগুনের বুকে
ঢালিয়া দিলো চকবাজারে আসি
নিমতলীর পোড়া মানুষের ঘ্রাণ
এতদিনে হইয়াছে যবে বাসি।
এমনি করিয়া যাইবে কি মুছিয়া চকবাজারের বেদনারাশি
আর কতকাল উৎকণ্ঠার উত্তাপে নির্ঘুম
কাটাইবে রাত পুরাতন ঢাকাবাসী?
২৪-২-২০১৯