আমার এখন ভাবনা কিংবা দুর্ভাবনা কোনটাই নেই
আমি এখন কারো কারো গবেষণায় ব্যবহৃত ব্যাঙের মতো জীবন্মৃত
কিংবা পিরামিডের ভেতর ফারাও রাজার মমির মতো
আমার এখন চক্ষু দুটি অনড় মৃত। দেখতে হয় না
নানান রকম অসঙ্গতি, দেখতে হয় না দুর্গন্ধময় সমাজক্ষত।


আমার এখন দায়িত্ব নেই কারো প্রতি।
বন্ধু বলতে যারা ছিলো তারা ছিলো সঙ্গি কেবল চলতি পথে
নিদানকালে পকেটমানি ভেঙেচুরে খরচ করে
মধ্যপথে হঠাৎ উধাও
আমার এখন চলায় যতি। বলায় যতি।


আমি এখন মানুষ থেকে অনেক দূরে।
নাম ধরে আর খোঁজে না কেউ। শুকনো নদীর হারানো ঢেউ।
এই যে আমি পথ হেঁটেছি, সকাল বিকাল
রোজ ঘেঁটেছি অন্য কারো ব্যথার শহর, একলা প্রহর
দুপুর রোদে উপুর হয়ে গাছের মতো ছায়া দিলাম
মায়া দিলাম। জরা এবং খরা থেকে বুকের ভেতর আগলে ছিলাম
সে-ই এখন আমার জন্য কবর খুঁড়ে। সুখের বদল
আগুন ঢালে দৃষ্টি জুড়ে। অন্য বাগে গান ধরেছে মিষ্টি সুরে।


প্রখর তাপের দিনের শেষে ঘরে এসে যার ছায়াতে
জিরোবার খুব ইচ্ছে ছিলো, সে-ই যখন ফিরিয়ে দিলো
এখন আমার যাবার কি আর আছে এমন
জমি জিরত সুখের বাড়ি;
নির্ভরতায় হাতের ওপর হাতটা আমার রাখতে পারি?


তাই তো এখন শামুকের ন্যায় নিজের ভেতর গুটিয়ে গেলাম
মরার আগেই মরে গেলাম, দায়ে পড়ে ভালোবাসার
দহন হতে একজনাকে মুক্তি দিলাম। মুক্তি দিলাম। মুক্তি দিলাম।
২৭-০১-২০২১