দেখনিকো আজো সেই বাংলায় কত গৃহ হারা,
নবাব চলে গেছে তবু রইয়ে গেছে তার পাঁয়তারা।
খেতের ফসল ফলেনি কোন কেরেছে সবই খরা,
সাধ্যের কাছে প্রতিদিন হার মানে আসহায় ওরা।
নিয়তি ভাঙে বড় অসহায় ভাবে ভাগ্যের নির,
দেখেনাতো কেউ ব্যস্ত নগরী নিওন বাতির ভির।
বুক ভিজে  কিষাণের ফেলে একা চোখের নির,
তবু বিশ্বাস রাখে ইষান কোনে কালবৈশাখীর।
রুপ বদলেছে রাজার এনেছে দেখ গনতন্ত্রের ধারা,
লড়াই থামেনি দারিদ্রতার কাটেনি মোদের ফারা।
স্বপ্ন দেখার সে কিষাণ রইয়েছে কি যে দিশেহারা,
ভ্রান্তিতে সবাই শুধু কিছু ভ্রষ্ট লোকের পকেট ভরা।
কেঁদে কেঁদে চোখ ছলছল কোন ছেলে হারা মা'র,
ভাইয়ের রক্তে রাঙিয়ে হাত সৃষ্টি পিতার।
বিজয় উল্লাসে নাচে ধ্বংস জাতির অহঙ্কার,
রাতের তারা খশে খশে পরে জানাতে প্রতিকার।
তবু ঘুম ভাঙে না জেগে জেগে স্বপ্ন  দেখার,
আর হাজার  স্বপ্ন বুনে আষারের গল্প শুনার।
সাঁঝবাতি নিভে গেলে পোশাক পরা ভদ্রলোকের ভির,
পাড়ায় জমে পশুর বাসর সাজায় পশরা নষ্টনীড়।
হাত বদলের হাট বসে কষ্ট লুকায় আচলে মুছে নির,
বাহুবন্ধী কিশোরী মুখে হাসি বুকে তার স্বপ্ন নিবিড়।
জলে মোমেরবাতি পাপপুণ্যের মানদন্ডে আধার হরি,
পীর, হুজুর, ফকির, নেতা ব্যস্ত করতে পকেট ভারী।
ধর্ম আজি ব্যবসা  শুধু  গরীবের শান্তি কাড়ি,
পয়সার জোরে পুন্য কিনে কেউ নিয়ে যায় বাড়ী।
সমান অধিকার খাতার ভাষায়  কাঁদে তবু নারী,
পোষাক খুলা পন্য ওরা চারিদিকে জয় জয়কারী।
দিকভ্রান্ত সমাজের হাতে সভ্যতার বাড়াবাড়ি,
পণ্যের দরে বিকায় মানুষ মুল্য তার কানাকড়ি।
ফুটপাতে বাড়ে শিশু অংক কষে উপর তলার,
ইট গুনে শেষ হবে কিশোর মনের স্বপ্ন হাজার।
তবু ব্যর্থ মনে শুধুশুধু  মালা গাথা  আশার,
দুঃস্বপ্নের হবে সমাপন কবে নেই কেউ দেখার!