আমাকে নস্টালজিক করে দিও না !
প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকব তোমার বাড়ির সামনে,
আমি আমরণ অনশন করতেও জানি ।
ফিরিয়ে দাও তোমার-আমার সেই স্বর্ণালি দিন ।  
কোনো ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টের সময় নয় ,
আমি চাই নদীর ধারের সেই দিনগুলো ।
কোথা থেকে ভেসে আসা ভাঁটের সেই সুঘ্রাণ ,
হঠাৎ করে শুশুকের লাফিয়ে ওঠা ,
তোমার ওই বিস্ময়ও আমি চাই ।
মাঝিদের গান শুনে আমার গলাও করলে পরীক্ষা ,
হরবোলা বলে করলে কটাক্ষ ।  
সময় শেষ হতেই তোমার শশব্যস্ততা ,
তারপরেও আমার হাতটি জাপটে ধরে বসে ছিলে কেন ?


আমাকে নস্টালজিক করে দিও না !
কেয়ামত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকব তোমার বাড়ির সামনে ,
তোমার হোয়াটস্অ্যাপের পাঠ্যগুলোও থাকবে দাঁড়িয়ে ।
বকুল গাছটার নিচে বসে বলেছিলে—
হুমায়ূন আহমেদ তোমার পছন্দ না !
আমি তাও ছেড়েছি ।
বর্তমানে স্নিকার ছুঁড়ে হয়েছি হিমু ।
তোমার পশ্চিমা পোশাকে বলেছিলে—এটাই স্টাইল !
এখন কেন শাড়িতে ?
হঠাৎ বৃষ্টিতে তুমি-আমি ভিজেছিলাম ,
হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ,
কোথায় সেই প্রতিজ্ঞা ?



২২-০৩-২০২১
আলাদাৎপুর, নড়াইল ।