ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সবুজ ঘেরা গাঁ,
সেই গ্রামে বসত করত এক দুঃখিনী মা।
মা দুঃখিনীর একটি ছেলে বংশের চেরাগ বাতি,
মায়ের আশা ছেলে তাহার হবে কোটিপতি।
অনেক সময় নিজের খাবার ছেলের মুখে দিয়ে,
ভুখা থেকে দিন কেটেছে সেই দুঃখিনী মায়ের।
অসুখ বিসুখ হলে ছেলের লেম্পে আগুন জ্বলে,
সারা রাত্র কাটিয়ে দিত,চোখের জল ফেলে।
সেই ছেলেটি বড় হয়ে করল যখন বিয়ে,
মায়ের স্নেহ ভুলে গেল নূতন বধু পেয়ে।
বউ হল তার আদরিনী,বেহেস্তেরই মেওয়া,
মা জননী তখন হল,তাহার বাড়ীর বোয়া।
মা পরতেন ছেঁড়া কাপড়,বউটি পরত শাড়ী,
বউ এর পায় ডিস্কু জুতা,ঘুরত বাড়ী-বাড়ী।
মা জননী শীতে কাবু খরে আগুন ধরে,
সারা রাত্র কাটিয়ে দিত,ভাসত আঁখি নীরে।
মা জননীর রাখতনা খোঁজ সেই আদুরে ছেলে,
বউ এর গোলাম সেজে গেল,মায়ের কথা ভুলে।
সবার ছেলে বড় হলে এমন হতে পারে,
যদি থাকে মা জননী সেবা কর তারে।
যদি কর মায়ের সেবা ,শিখবে তোমার ছেলে,
তোমার সেবাও করবে ছেলে বার্ধক্যতা এলে।