..................................
এ সংসারে দুঃখী বলি তারে
যোগ্যবান বেটা যার
মা তার আগে মরে।
মা,জননী পাগলিনী
পুত্র হারা শোকে,
সারা জীবন তুষের অনল
জ্বলে তার বুকে।
শিশু কালে আতুঁর ঘরে
মা,মরেছে যার,
তার চেয়ে বড় দুঃখী
সংসারে নেই আর।
সৎমাতার এঁটু ভাতে
পেট ভরেনা রাতে,
বালিশ ছাড়া চটে ঘুমায়
কাঁথা দেয়না শীতে।
আর এক দুঃখী হতভাগী
আছে এ সংসারে,
বিদেশে বিপাকে যার
স্বামী গেছে মরে।
নেশাগ্রস্থ ছেলে যত
রাতে আসে তারা
বিধবারে ডাকে কেহ
কেহ টানে বেড়া।
ধনী থেকে গরীব হলে
তাকেও দুঃখী বলে,
আড় চোখে সবাই দেখে,
চার দোকানে পেলে
যায়ার মুখে হাসি নেই
মুখ থাকে তার কালো,
স্ত্রী পুত্র সবাই মিলে
পায়না তারে ভালো।
অবহেলায় দিন কাটে তার
চোখের জল ফেলে,
হঠাৎ কাঁধে ভিক্ষের ঝুলি
যায় সে দূরে চলে।
পীড়িত কইরা পীড়িত ভাংলে
দুঃখের সীমা নাই,
এমন দুঃখের দুঃখী যে জন
গাছ তলায় তার ঠাঁই।
প্রেম বিরহে অনেক জন
বিলাশ ভূষন ছাড়ি,
খেপা হয়ে ঘুরছে সে জন
পাটের ছালা পরি।
নাওয়া খাওয়া নেই যে তার
ঘুরে হাটে ঘাটে,
এঁটো খাবার খেয়ে তার
সারা জীবন কাটে।
হঠাৎ একদিন যায় সে মরে
লাসটি থাকে পরে,
শিয়াল কুকুর কামড়ে খায়
কেউ দেখেনা ফিরে।