নরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধরী
ছিলেন ভাওয়াল রাজা,
পায়িক পিয়াদা ছিল শত
অনেক ছিল প্রজা।
প্রমোদ কক্ষে সময় কাটতো
সঙ্গে বাইজি নারী,
মদোন্মত্ত থাকতো সদা
কষ্টে থাকতো স্ত্রী।
বিবাবতির মনে বিষাধ
ভাবনা চিন্তা করি,
আশু বাবুর প্রেমের নৌকায়
উঠল তরিগরি।
মদাত্যয় রায় চৌধরী
গতর ভরা জর,
তরিগরি নিয়ে গেল
দার্জিলিং শহর।
আশু ডাক্তার-বিবাবতি
দু চক্রকারী,
বিষমিশিয়ে হলকাহলে
খাওয়ালো নিজ স্ত্রী।
রায় চৌধরীর শব দেহ
শশান ঘাটে নিলে,
হঠাৎ এলো ঝর তোফান
সবাই গেল চলে।
শশান ঘাটে সন্ন্যাসী এক
ধ্যানে মগ্ন ছিল,
সেই সন্ন্যাসীর সেবা যত্নে
জীবন ফিরে পেল।
জীবন পেয়ে রায় চৌদুরী
সন্ন্যাস বেশে ঘুরে,
ঘুরি-ঘুরি হঠাৎ করি
ভাওয়ালে এলেন ফিরি।
রায় চৌধরী দাবী করছে
আমি ভাওয়াল রাজা।
বিবাবতি রেগে বলছে
তোমায় দেব সাজা।
রায় চৌধরীর স্বজন যারা
চিনছে সবাই তাহে,
বিবাবতি বলছে সে যে
রায় চৌধরী নহে।
ব্যার্থ হয়ে রায় চৌদুরী
আদালতে যায় ,
বিচার পাবার আগেই মরলেন
নরেন্দ্র নারায়ন রায়।