শৈশবে মায়ের ক্রোড়ে
           স্তন্যপান করে,
      স্বর্গসুখে সময় কেটেছে
     ছিলনা কোন জ্ঞান।
    কৈশোরে তেপান্তরে ঘুরে ঘুরে
       সাথীর সাথে নানা খেলা,
খেলা শেষে বাড়ি ফিরতে
         হয়েছে দুপুর বেলা।
মায়ের বকুনি আর সোহাগ শাসনে
         ঝরেছে চোখে জল,
       মায়ের আঁচলে মুছে জল
         হাতে দিয়ে কিছু ফল,
          সোহাগে জিজ্ঞাসিল
        এবেলা কোথায় ছিলি বল?
       শৈশব আর কৈশোর পেরিয়ে
          তনুতে এল যৌবন ধন,
           এ ধন ধরে রাখা ভার
              সারাটি জীবন।
      দেখিতে দেখিতে জায়ার ক্রোরে
               ফুটফুটে চাঁদ,
        হাসিতে খুশিতে ভরিলো
               রঙিন প্রাসাদ।
            এবার বয়সে প্রবীণ
         স্বাস্থ্য চেহারা হয়েছে ক্ষীণ ,
          কাঁচা চুলে পাক ধরেছে
            দেহে মরণ চিন্।
                 দৈবাৎ পরিবে ডাক
             দিতে হবে সারা।
       গাঁঠুরি বেঁধে তৈরী হতে
        পেছন দিতেছে তাড়া।
           ইহকাল ছেড়ে
                  কেহ যাবে আগে ,
        কেহ যাবে পরে।
                পরকালে সবার হবে
       চির বাসস্থান,
              কোথায় কিভাবে রাখেন
     জানেন মহান।