ভরা পূর্ণিমার চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে হেঁটে চলা জীবন
আর তার বিপন্ন অলিগলি পথ বেয়ে
হঠাৎ করেই তুমি নিশ্চুপে ঢুকে যাও;
অজান্তেই সেখানে একটু একটু করে বড় হতে থাক
যেমনটা বাড়তে থাকে বটগাছে লতাপাতা;


আমাকে সযত্নে প্যাঁচিয়ে ফেল
আমার জীবনের শেকড়বাকড়ে আচ্ছাদিত করে ফেল
আমাকে তোমার ভালোবাসায় জড়িয়ে ফেল তখেই।
এমন সময় আগাছাই দৃশ্যমান হয়ে যায় গাছ,
লতাপাতাময় হয়ে যায় বৃক্ষ
আর ফেলনা সব আবর্জনাও হয়ে যায় জীবন।


তোমার কচি হাল্কা লোমশ হাতে
সদ্য প্রকাশিত মেহগনির কচি পাতা ঠোঁটে
অপরাজিতা পাপড়ির মতো বুকের উঠানে
রোজ প্রেমন্ধ নিশাচর হাঁটে।
সকলে হাঁটতে গিয়ে ক্লান্ত হয়
তোমার অবিশ্বাসী গভীর কালো চোখে
সীমান্তের ওপারে বসে থেকেও
ক্রসফায়ারের ভয়ে গুটিয়ে যায় প্রেমিক মন।


অথচ, দেবদারুর বাদামী পাতার মতো খোলা পিঠে
কবিতা লিখতে গিয়ে ক্লান্ত হই নি কখনো
রাধাচূড়ার মত টসটসে গালে
জংলী জামের মতো অধরের তিলক ফোঁটায়
স্বপ্ন এঁকেছি রাতের পর রাত,
বিশ্বাস কর- ক্লান্ত হই নি কোনোদিন।


এটুকুতেই ক্লান্ত হয়ে যাইনি
বিষন্নতায় মগ্ন হইনি
তোমার ঘ্রাণের মাতাল বুনো তালে সুর মেলাতে গিয়ে
বুসুরো গীত গাইনি কখনো
প্রতিবার সুরের মূর্ছনায় ভেসে গেছে আমাদের অতীত
নতুন করে স্বপ্ন সেজেছে, অবিশ্বাসী দুচোখে তোমার।


অবাধ্য প্রেমিক মন বুঝতে পারেনি,
কেন এমন করে কাছে আসা?
পুড়িয়ে ছারখার করে, কেন এভাবে চলে যাওয়া?