২১২০, কি রাখবে মনে এই মহামারী কাল?
রাস্তায় ছড়ানো ছিটানো মানুষের অব্যক্ত দিনলিপি?
হাহাকারের প্রতিধ্বনি ভাসবে কি সেই আকাশের অনন্ত সীমানায়?


আজ সর্বত্র উদাসী বিমর্ষ ছটফটে মুখ এখানে ওখানে,
নিরন্ন মানুষগুলো চেয়ে থাকে পথ থেকে পথের ওপ্রান্তে;
তাদের চোখে শুধু নতুন দিনের স্বপ্ন, একটু বাঁচার আশা;
সেই স্বপ্ন- এই পর্বে নূন্যতম বেঁচে থাকার।
তখনো কি আকাশের সীমানায় এমন স্বপ্ন দেখা যাবে?


খাবার ফুরিয়ে গেছে দিনে এনে দিন খাওয়া শ্রমিকের
প্রয়োজনীয় ঔষধ দূলর্ভ আজ এই পথেঘাটে
আগত শতাব্দী কি মনে রাখবে এই ঘাটতি সময়, অনাহারী ক্ষণ?
ভেকসিন হাতে পাবে, তাই-
ল্যাবরেটরিতে চিন্তাশীল বিচক্ষণ মুখগুলো নির্ঘুম রাত কাটায়
এখানে ওখানে খাবার সংকট প্রকট হচ্ছে রোজ,
হাড্ডিসার দেহগুলো পতিত রাস্তায় পরে আছে,,
এই যে ছবি আগত দিনের যান্ত্রিক মহা সভ্যতা রাখবে কি তার স্মৃতিতে?


আরো একশ বছর পর- যেখানে যন্ত্র কথা বলে মানুষের সাথে,
অথবা যন্ত্রের সাথে মানুষের সহবাসের চরম মুহুর্তের সাক্ষী যে সময়,
তখনও কি মানবতার সূত্র ধরে এই কথা মনে করে কেউ কষ্ট পাবে?


পাবে না; আমি নিশ্চিত কেউ কষ্ট পাবে না।
মানুষের জীবন আর পিঁপড়াদের জীবন যখন একাকার হয়ে যায়,
যখন একঝাঁক দানব পিষিয়ে দেয় জনবসতি কোটি কোটি মানুষের,
তখন কেউ মনে রাখার প্রয়োজন উপলব্ধি করে না।


যন্ত্রের সাথে মন্ত্র যপে জীবনালেখ্য রচিত সময়ে
এই অজস্র মানুষের মরণ লেখা মুহুর্তগুলো লিপিবদ্ধ হবে কি?
আমি যে ছিলাম অনন্ত সাক্ষী এই ঘটনার,
আমিও বন্দী ছিলাম অগণিত দিন রাত্রীর অলিখিত পাতায়;
মনে রেখো সময়।
২১২০ হয়ত আরো সুন্দর হবে, আরো উপজীব্য হবে জীবন সেখানে;
তবুও এই জীবন খুব ভালো ছিলো,
আরো একশ বছর পর, তোমরা নিউরনে অটুট রেখো;
এই মহামারী কাল, লক্ষ লক্ষ মানুষের নিভৃত প্রস্থান।


প্রকৃতির কাছে অসহায়ত্বের দিনগুলো
প্রকৃতির ভালোবাসা
প্রকৃতির প্রতিশোধ
প্রকৃতি নির্মমতা
কখনো ভুলে যেও না।
প্রকৃতি নির্মম হতে সময় নেয় না
প্রকৃতির নির্মমতা কতটা কঠিন,
মনে রেখো হে নতুন সভ্যতা।