হে আমার অসময়ের ভালোবাসা!
তুমি দূর দেশ হতে কেমন করে প্রবল হুংকারে
মনের ভেতর চুপিচুপি ঢুকে গেলে বুঝতে পারিনি৷


হে অতৃপ্ত প্রেম আমার!
হে যন্ত্রণার হাটের একচ্ছত্র মহারাণী!
তুমি কোথা হতে এলে?
পথের দিকে তাকালেও পথ চিনি না,
পথ আমাকে বিপথগামী করে,
তুমি কি আমাকে পথ চিনিয়ে নেবে?


তোমার একটা নাম দেবো ভাবছি
যেই নামে ডাকলে
তোমার বুকের ভেতরটা খালি খালি লাগবে
নিজেকে খুব অসহায় লাগবে
শূন্য শূন্য লাগবে
আামকে তোমার চারপাশে খুঁজবে
খুঁজতে গিয়ে বুঝবে- এটা অকালের প্রেম।


আমার অনুপস্থিতি তুমি কি টের পাও?
আচ্ছা, আমাকে কি কখনো তোমার জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করে?
কখন ইচ্ছা করে?
নাকি আদোৗ করে না।


আজ সত্য লুকাবো না
আজ সব কথা প্রকাশ করে দেবো,
আমারও খুব ইচ্ছা করে,
তোমাকে জড়িয়ে ধরে থাকতে
বিষাক্ত সাপ যেমন জড়িয়ে ধরে বটের বাকল
স্বর্ণলতা যেমন করে কামনার মেঘ ঢেলে নিজেকে সাজায়
তেমন করে তোমার অতৃপ্ত বুকের মাঝ নদীতে
রঙিলা সাম্পান ভেড়ানোর নেশায় আচ্ছন্ন থাকি,
তোমার নৌকার মতো চিবুকে
একটু ভালোবাসা দিতে খুব ইচ্ছা করে
তোমার স্ফীত বুকের জমিনে মাথা রেখে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিতে ইচ্ছা করে।


ইচ্ছা করলেই তো হবে না৷
ইচ্ছা পূরণের সামর্থ্য থাকতে হয়
আমি অক্ষম।
তোমার নাভিমূল ধরে যে পথ চলে গেছে দূরন্ত চঞ্চলতায়
সেই পথের ঠিকানা অব্যক্ত খাতায় লিখা ছিল
আর আমি সেই খাতাটা গতরাতে হারিয়ে ফেলেছি।
খাতাটা খুঁজে পেলে তোমার আঙিনায় নোঙর করবো।
সেদিন আর ভুল হবে না প্রিয়তম।
তখন একেবারে তৈরি হয়েই ফিরবো।


হে অতৃপ্ত প্রেম
তোমার সূরম্য অট্টালিকার প্রবেশদ্বার সাজিয়ে রেখো
নানান আলোয় রাঙিয়ে রেখো আকাশচুম্বী তোরণ।
সেদিন কিন্তু আর বাঁধা মানবো না।
মনে থাকে যেন।