মোহিনীর বাঁশির টান আর নৃত্যরত ছলাকলায়
সুতীব্র মাতাল শিহরণের আকুল আহ্বানে
মরেছে প্রেমিক, মরেছে মানুষ, মরেছে মানুষ ছাড়াও অনেকে।


হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার মতো
শহরের শত জঞ্জাল মুছে ফেলে মোহিনী;
তার কাছে প্রেমিক মানেই জঞ্জাল,
তার কাছে ভালোবাসা মানে উচ্ছিষ্ট আবর্জনা
তার কাছে নিরবতা মানে আমৃত্যু প্রস্থান।


মোহিনী, মানুষের বুকের রক্তে স্নান করে
মানুষের আবেগের ধোঁয়া ওঠা করুণ নিঃশ্বাস
ড্রাগনের জলন্ত জিবের ডগায় শুষে নেয়।
চোখের আগুনে পুড়িয়ে দেয় শহর নগর।
মোহিনীর আগুনে মরেছে কোটি মানুষ
তার সাজানো চক্রান্তে আফ্রিকায় লেগেছে দুর্ভিক্ষ
তার কৌশলে ইউরেশিয়ায় হতাশা জেগেছে
তার কারণে আজ লাখাদে অসন্তোষ
মোহিনীর আঁকা ছকে ইউক্রেনে রাশিয়ার অনুপ্রবেশ চলমান ।


মোহিনীর কালো দেহে হাজার বাতি জ্বলে।
বিদ্যুত সাশ্রয়ের এই সময়ে
তার দেহ পেতে বসে থাকে আহত প্রেমিকেরা
তার শরীরের ঘ্রানে পথ হারাবে বলে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
কঠিন সময়ে সহজ পাঠ্যক্রম বুঝে ওঠতে গিয়ে
সহজ পথ রেখে জটিল পথের দিকে এগুতে গিয়ে
প্রেমিকেরা দেখে- মোহিনী জাল পেতেছে সবখানে
বড়মাছ, ছোটমাছ ধরা পড়ছে অহরহ তার হাতের পরশে
মোহিনী- শিকার করা মাছভাজা দিয়ে ভাত খায় প্রতিরাতে।


মোহিনী শিকারী, মোহিনী ডাকিনী,
যখন সে ছিনতাই করে, অবশিষ্ট রাখে না কিছু তার।


সে যা চায়, সে যেদিকে তাকায়
সব পুড়ে ছারখার করে ছাড়ে
তার ইশারায় যেই নেশা, তার চোখে যেই ভাষা
তার ঠোঁটে যতটা টান, তছনছ করে দেয় মানুষের স্বপ্ন সাধনা।


মোহিনী, তুই একটু থাম; আমি মাথা তুলে একটু দাড়াতে চাই।
আমাকে একটু দাড়াতে দে,
নয়ত আমি শশ্মান করে দেব, তোর সাজানো বাগান।


২৫/০৯/২০২২