হস্তী বৎসের সময়ে রাসূল জম্ম নিলেন জানি
অন্ধকারে ঢাকা ছিল অসিম ধরনী
ধ্বংস করতে আসল আবরাহা আল্লাহর ঘরখানি
আখি মেলে দেখে নিজ ধ্বংস আনিয়াছে সে টানি।
হস্তী বাহিনী না চাহিল ধ্বংসীত হোক তার ঘর
সুরক্ষিত হোক ঘরটি তাহার জনম জনম বর
নিজ কর্মে দোষী হইয়া ধ্বংসীত তার দল
খোদার গজবে নিঃশেষ হলো আবরাহারি বল।
প্রভুর ইশারায় আবাবিল পাখি পাথর টানিয়া আনি
মারল পাথর তার দল বলের উপর ধ্বংস করিল জানি
নিঃশেষ হইয়া খসে পড়িল দেহের মাংসখানি।
অধার দূরিভূত হলো রাসূলের নূর পেয়ে  
বাতিলরা চিৎকার করিয়া মরে রাসূল আর্বিভাবে।
কান্না কাটি করে লুটিয়ে পড়ে সন্ন্যাসী মূর্তিরা
রাসূল এলো, রাসূল এলো আমরা খেয়েছি ধরা।
অন্যায়ের জালে মানব সমাজকে বন্ধি রাখবো কত দিন
রাসূল এলো,রাসূল এলো,চিৎকার করিয়া মরে মূর্তি নামের বীণ।
অবহেলিত নারী সমাজ আর জাহেলিয়াতে ভরা
ইসলাম এলো, রাসূল এলো,পূর্ণ করিল ধরা।
রাসূল নামের আবির্ভাবে আলোকিত রাজপথ
বাতাসে ধরিল গান নদীতে আসিল বান
  শো,শো করে শব্দ করিল আনন্দের তুফা।
গাছে ফুটিল ফুল মাছে ধরিল কূল    
পাখি গাহিল গান কন্ঠে নবীর শান
আনন্দ করিল বিশ্ব জাহান নবীর আগমনে
রাসূল এলো, রাসূল এলো, ব্যথিত হৃদয় প্রাণে।  
দুঃখ গুছিল রাসূল পেয়ে ব্যথিত হৃদয় প্রাণ
দাস-দাসী নামের কুপ্রথা রাসূল করিল অবসান।
হাজারো বছরের যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ হয়ে গেল
রাসূল এলো, রাসূল এলো, মাথা যে নতিল।
অত্যাচারীর হাত থেকে মাজলুম রক্ষা ফেল
রাসূল এলো, রাসূল এলো, শান্তি নেমে এলো।    
তরবারি আর তীর ধনুকেরা মাটিতে লুটিয়ে পরে
রাসূল নামের সম্মান দিতে গিয়ে লজ্জায় তারা মরে।
এতিম শিশুরা আনন্দ পেল রাসূলের কোল পেয়ে
রাসূল এলো,  রাসূল এলো,  পিতাকে তারা ভুলে।      
স্বামী হারা সত্বী নারী রাসূলকে তারা পেয়ে
ভক্তি- শ্রদ্ধায় নয়ন ভরিল গান যে উঠিল গেয়ে
রাসূল এলো, রাসূল এলো,  অশান্তি নাহি মিলে।    
বুলবুলিরা গান ধরিল পিংকি নাচে ঢালে
রাসূল এলো, রাসূল এলো, মুক্তি মোদের মিলে।
হাজরে আসওয়াদ স্হাপন করিবে কে দ্বন্দ্ব সবার মাঝে
রাসূল এলো, রাসূল এলো, আনন্দের জোয়ার উঠে।    
চার গোত্রের চারটি নেতা সঙ্গে করিয়া
মীমাংসা করিলেন সমস্যাটি গেল দ্বন্দ্ব মিটিয়া।
মিষ্টিবাসী ছিলেন রাসূল সবার সাথে মিশে
দুঃখ ব্যথা গুছিতেন তিনি সবার কাছে গেশে
রাসূল এলো, রাসূল এলো, উঠলো স্লোগান
দুঃখ গুছিবে সুখ যে আসিবে গাইবে সাম্যের গান।